কঠিন বলয়ের মধ্যে আটকে থাকা খুব ক্লান্তির, মনে করেন মুস্তাফিজুর। ফাইল চিত্র
আইপিএল খেলার জন্য দিনের পর দিন জৈব বলয়ে থাকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশে ফিরে এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাঁর মতে আইপিএল কিংবা আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলার সময় একাধিক দিন কঠিন বলয়ের মধ্যে আটকে থাকা খুব ক্লান্তির। এমনকি দিনের পর দিন একটা ঘরে আবদ্ধ থাকা যন্ত্রণার বলেও মনে করেন এই বাঁহাতি জোরে বোলার।
করোনার জন্য আইপিএল বাতিল হয়ে যাওয়ার পর শাকিব আল হাসানের সঙ্গে কয়েক দিন আগেই দেশে ফিরে গিয়েছেন মুস্তাফিজুর। জৈব বলয়ে থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুস্তাফিজুর বলেন, “আইপিএল কিংবা আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলার সময় প্রত্যেক ক্রিকেটারকে একটি করে ঘর দেওয়া হয়। ম্যাচ না থাকলে ঘর থেকে বেরনোর কোনও উপায় নেই। এমনকি কোভিডের বাড় বাড়ন্তের জন্য সতীর্থদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এ ভাবে দিনের পর দিন কাটানো খুবই ক্লান্তির। প্রতিদিন একঘেয়ে জীবন কাটাতে কারও ভাল লাগে না। এ ভাবে আবদ্ধ থাকলে খেলার উপরেও প্রভাব পরতে বাধ্য।”
দেশে ফিরে গেলেও এখনও বাধ্যতামূলক ১০ দিনের নিভৃতবাসে রয়েছেন মুস্তাফিজুর। রাজস্থান রয়্যালস শিবিরে করোনা হানা দেয়নি। তবে এই ভাইরাস আইপিএল-এর অন্য তিন দলে প্রবেশ করতেই সঞ্জু স্যামসনের দলের সবাই নিভৃতবাসে চলে গিয়েছিলেন। সেটাও জানালেন তিনি। মুস্তাফিজুর বলেন, “আমাদের দলে কেউ আক্রান্ত না হলেও অন্য দলের খবর কানে আসতেই সবাই অন্তত পাঁচ-ছয় দিনের জন্য যে যার মতো ঘরবন্দি হয়ে গিয়েছিলাম। এরপর বিশেষ বিমানে দেশে ফিরে আসার পর এখানেও নিভৃতবাসে আছি। আসলে এই পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।”
চলতি মাসের ২৩ মে থেকে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ খেলবে টাইগার্সরা। সেই সিরিজ শুরু হওয়ার আগে শাকিব-মুস্তাফিজুরদের আবার নিয়মমতো নিভৃতবাসে থাকতে হবে।