শক্তিমান: রাসেলের পেশি দেখে বিস্মিত শুভমন। কেকেআর টুইটার
চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে ১১ এপ্রিল সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে যাত্রা শুরু কলকাতা নাইট রাইডার্সের। প্রথম ম্যাচেই প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে দেখা যেতে পারে শাকিব-আল-হাসানকে।
নাইট শিবির সূত্রে খবর, নিভৃতবাস পর্ব সদ্য শেষ করে এক দিন অনুশীলনের পরেই প্যাট কামিন্সকে খেলানোর ঝুঁকি না-ও নিতে পারে নাইট শিবির। গত বার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে নিভৃতবাস পর্ব শেষ করেই মাঠে নামতে হয়েছিল কামিন্সকে। রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে তিন ওভারে ৪৯ রান দেন ১৫.৫ কোটি টাকার পেসার। তাই এ বার কামিন্সকে প্রস্তুতির পর্যাপ্ত সময় দিয়ে ম্যাচে নামাতে চায় কেকেআর।
সেই সঙ্গেই চেন্নাইয়ের উইকেটে কামিন্স কতটা কার্যকরী হয়ে উঠতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের পিচ বরাবরই স্পিনারদের সাহায্য করে। ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে যার প্রমাণ পেয়েছে ইংল্যান্ড। তাই চেন্নাইয়ের পিচে একজন অভিজ্ঞ স্পিনার-অলরাউন্ডার নিয়ে নামার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না নাইট শিবির।
শুক্রবার চেন্নাইয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অনুশীলনে এক ঘণ্টা ব্যাট করানো হয় শাকিবকে দিয়ে। একটি নেটে দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করেন শাকিব। অন্য নেটে ছক্কার মহড়া চলে আন্দ্রে রাসেলের। মাঝের ওভারগুলোয় ব্যাটে ঝড় তোলার জন্যই কি দুই অলরাউন্ডার তৈরি হচ্ছেন? তা
সময়ই বলবে।
নজর থাকছে অভিজ্ঞ অফস্পিনার হরভজন সিংহের উপরেও। চেন্নাইয়ে তাঁকে খেলানোর সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি। কারণ ভারতে আর কোনও মাঠে স্পিনাররা সে রকম সাহায্য পাবেন না। স্পিন বিভাগে হরভজনের অভিজ্ঞতা বড় অস্ত্র হতে পারে নাইটদের। বরুণ চক্রবর্তী, হরভজন ও শাকিব, এই ত্রয়ীকে প্রথম ম্যাচে দেখা যায় কি না, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে রবিবার পর্যন্ত।
নাইটদের অস্ট্রেলীয় পেস অস্ত্র প্যাট কামিন্স সাত দিনের নিভৃতবাস পর্ব উপভোগ করছেন। শুক্রবার নাইটদের ওয়েবসাইটে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় তাঁর। সেখানে কামিন্স জানিয়েছেন, শুভমন গিলের আচরণ ও আত্মবিশ্বাস তাঁর খুব পছন্দের। কামিন্স বলেছেন, ‘‘শুভমন চেষ্টা করে ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে। এই বয়সে এ ধরনের আচরণ আমার খুব ভাল লেগেছে। শুভমন তরুণ, কখনও ভয় পেতে দেখিনি ওকে। ওর সঙ্গে সময় কাটাতে সত্যি খুব পছন্দ করি।’’
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট অভিষেক হয় শুভমনের। ব্রিসবেনে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ৯১ রানের ইনিংস জয়ের ভিত তৈরি করে দেয়। কামিন্স বিপক্ষে থাকলেও শুভমনের সাফল্যে মোহিত। তিনি বলেছেন, ‘‘অসাধারণ টেস্ট অভিষেক হয়েছে শুভমনের। ওর জন্য সত্যি খুব খুশি। প্রথম ম্যাচ থেকে ওর মধ্যে রান করার খিদে লক্ষ্য করা গিয়েছে।’’
কামিন্স যদিও বিরাট কোহালি নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে ভয় পান। ২০১৮-’১৯ অস্ট্রেলীয় সফরের আগে কামিন্স বলেছিলেন, ‘‘বিরাটকে একটিও সেঞ্চুরি করতে দেব না।’’ তার পর থেকে যখনই বিরাট সেঞ্চুরি করেছেন, সমর্থকেরা কামিন্সকে বিদ্রুপ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি এত কিছু ভেবে ওই মন্তব্য করিনি। আমার মনে হয়েছিল এই মন্তব্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিরাট বড় ব্যাটসম্যান বলেই না ওকে সেঞ্চুরি করতে দেওয়া হবে না বলেছি।’’ যোগ করেন, ‘‘তার ছ’মাস পরেও বিরাট সেঞ্চুরি করলে আমার ফোনে বার্তা আসত। ভারতীয় সমর্থকদের সব কিছু মনে থাকে।’’