ছেলেদের ভাল ক্রিকেট প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সুরত থেকে বদোদরায় পাড়ি দিয়েছিলেন হিমাংশু পাণ্ড্য। ২০১৪ সালে প্রথম বার আইপিএলের নিলামে নিজের নাম তুলেছিলেন ছোট ছেলে। সে বার শিকে ছেড়েনি। অবিক্রিতই থেকে গিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য।
পরের বার ফের নিলামে নাম তুললে এক মাত্র মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাঁর জন্য দড় হাঁকে। মাত্র ১০ লক্ষ টাকায় হার্দিক যোগ দিয়েছিলেন রোহিত শর্মার দলে।
২০১৬ সালে জানুয়ারি মাসে ভারতের টি২০ দলে অভিষেক ঘটে হার্দিকের। ধীরে ধীরে নিয়মিত হয়ে ওঠেন সব ধরনের ঘরানায়। হার্দিকের সঙ্গে কপিল দেবের তুলনাও করতে শুরু করে দেন সমর্থকরা।
পারফরম্যান্স এবং দর বাড়তে বাড়তে আইপিএলে এখন প্রতি বছর ১১ কোটি টাকা পান হার্দিক। এ বারের আইপিএলে তাঁকে দলে ধরে রেখেছে মুম্বই। যার ফলে এত বছরের আইপিএলে হার্দিকের মোট আয় দাঁড়ালো ৪৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকায়।
এক সময় মুম্বই দলের অধিনায়ক ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ২০০৮ থেকে ২০১৩ অবধি ক্রিকেটার হিসেবে মুম্বই দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের ঈশ্বর।
৬ বছরে আইপিএলে তাঁর মোট আয় ছিল ৩৮ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। আইপিএল ২০২০-র সময়ই হার্দিক সচিনের আয়ের খুব কাছে চলে এসেছিলেন। এ বার তিনি টপকে গেলেন মাস্টার ব্লাস্টারকে।
শুধু হার্দিক নন, সচিনকে আয়ের হিসেবে টপকে গিয়েছেন তাঁর দাদা ক্রুণাল পাণ্ড্যও। এ বারের আইপিএলে তাঁকেও দলে রেখেছে মুম্বই।
২০১৬ সালে ২ কোটি টাকায় মুম্বই দলে সই করেন ক্রুণাল। পরের বছরেও একই টাকা পান তিনি। ২০১৮ সালে ফের নিলামে ওঠে ক্রুণালের নাম।
ব্যাঙ্গালোর তাঁকে ৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায় প্রায় কিনেই ফেলেছিল। সেই সময় মুম্বই ‘রাইট টু মার্চ’ কার্ড তুলে ধরে। অর্থাৎ নিলামে ওঠা দামেই মুম্বই দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয় তাঁকে।
এখনও অবধি ক্রুণালের মোট আয় ৩৯ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। তিনিও টপকে গিয়েছেন সচিনকে।
সদ্য পিতৃবিয়োগ ঘটেছে পাণ্ড্য ভাইদের। তবে কষ্ট করে ক্রিকেট শেখানোর পর ছেলেদের এমন উন্নতিতে নিশ্চয়ই খুশিই হতেন হিমাংশু।