রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলী ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ফাইল চিত্র
গত মরসুমের আইপিএল-এ জৈব সুরক্ষা বলয় ভাল ভাবে কাজ করলেও এ মরসুমে তা হয়নি। ফলে একের পর ক্রিকেটার ও সহকারী প্রশিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি এমনই যে বন্ধই করে দিতে হল এই প্রতিযোগিতা। গত মরসুমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে সুরক্ষা বলয় তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ইংল্যান্ডের একটি সংস্থাকে।
১. জৈব বলয় বারবার ভেঙেছে
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, জৈব সুরক্ষা বলয় অনেক ক্ষেত্রেই নষ্ট হয়েছে। হোটেল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি। শোনা যাচ্ছে একটি দল তাদের ক্রিকেটারদের শপিং মলের মধ্যে থাকা হোটেলে রেখেছিল। আর একটি দল গোটা হোটেল সংরক্ষণ করে রাখলেও অন্যত্র খেলতে যাওয়ায় ১২ দিন অন্য শহরে ছিল। কিন্তু সেই ১২ দিন ওই হোটেল তারা সংরক্ষিত রাখেনি। ফলে ওই দিনগুলোয় সেখানে অন্য মানুষের অবাধ যাতায়াত ছিল। এর ফলেও এই সুরক্ষা বলয় ভেঙে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২. মাঠ কর্মীদের জৈব বলয়ে না থাকা
অনুশীলন চলাকালীন মাঠ কর্মীদের সংস্পর্শে আসতে হয় ক্রিকেটারদের। কিন্তু মাঠ কর্মীরা সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে না থাকায় তাদের থেকেও আক্রান্ত হতে পারেন ক্রিকেটাররা। এমনটাও শোনা যাচ্ছে, মাঠ কর্মীদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে করোনা আক্রান্ত হলেও তাদের দিয়েই কাজ চালিয়ে যাওয়া হতে থাকে। মুম্বই, চেন্নাই ও দিল্লিতেও এই ঘটনা ঘটেছে।
৩. বারবার শহর বদলানো
এক শহর থেকে অন্য শহরে বারবার যেতে হওয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় সম্ভাবনা কিছুটা বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে এক শহর থেকে অন্য শহরে আসার পরই আক্রান্ত হয়েছেন ক্রিকেটাররা।
৪. অকেজো জিপিএস ব্যবস্থা
গত মরসুমে ক্রিকেটারদের গতিবিধি নজরে রাখার জন্য জিপিএস-এর ব্যবস্থা করা হলেও এ মরসুমে তা ঠিক ভাবে করা হয়নি। যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের কাছে একটি দল তাদের ক্রিকেটারদের তথ্য চেয়েছিল। সেই তথ্য যখন এসে পৌঁছয়, তার দুদিন আগেই সেই শহর ছেড়ে দিয়েছে ওই দল।