IPL

আরও নির্বিষ কলকাতা, টানা চার ম্যাচ হেরে সবার নীচে মর্গ্যানের নাইট রাইডার্স

অদ্ভুত ক্রিকেট খেলে কলকাতাকে রোজ একরাশ লজ্জা দিয়ে যাচ্ছে নাইট রাইডার্স।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১ ০০:১৪
Share:

নাইট ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়ে চেতনকে জড়িয়ে ধরলেন ক্রিস মরিস। ছবি - টুইটার

প্রতিযোগিতা যত এগোচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং-বোলিংয়ের দৈন্যদশা আরও প্রকট হয়ে উঠছে। খেলা শুরু হওয়ার আগে লিগ তালিকার একেবারে শেষে ছিল রাজস্থান রয়্যালস। এ বার সেই দলের কাছেও লজ্জাজনক ভাবে হারল কেকেআর। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অইন মর্গ্যানের দলকে দেখে একবারের জন্যও মনে হয়নি যে ওদের জেতার কোনও তাগিদ রয়েছে। তাই ১৮.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৪ রান তুলে শুধু ৬ উইকেটে জেতা নয়, একই সঙ্গে ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার ৬ নম্বরে উঠে এল সঞ্জুর দল। অন্যদিকে পরপর ৪ ম্যাচ হেরে একেবারে তলানিতে চলে গেল অইন মর্গ্যানের নাইট রাইডার্স। কলকাতাকে দিয়ে গেল আবার একরাশ লজ্জা।

Advertisement

চলতি আইপিএল-এ প্রথম ম্যাচে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ১১৯ রান করার পর থেকে সঞ্জুর ব্যাট চুপ ছিল। গত কয়েক ম্যাচে খারাপ শট মেরে উইকেট ছুড়ে দেওয়ার জন্য প্রবল সমালোচিত হয়েছিলেন। তবে এ দিন যেন শুরু থেকেই দলকে জেতানোর সংকল্প নিয়ে নেমেছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক। ৪১ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকলেন। ২৩ বলে ২৪ রানে ক্রিজে থেকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন ডেভিড মিলার। তবে এই জয়ের জন্য ক্রিস মরিসের অবদান অনস্বীকার্য। কারণ ৪ উইকেট নিয়ে নাইটদের মিডল অর্ডার ভেঙে না দিলে এত সহজে জয় আসত না।

অতি রক্ষণাত্মক নীতি না নেতিবাচক মানসিকতা! প্রথম ৬ ওভারে নাইটদের দুই ওপেনারকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ক্রিকেট পন্ডিতরা। এই ধীরে চলো নীতির মাশুল দিলেন শুভমন গিল। অহেতুক রান আউট হয়ে নিজের খারাপ ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা যেমন বজায় রাখলেন, তেমনই বিপদে ফেললেন দলকে। শুভমন যখন ফিরলেন দলের রান তখন ১ উইকেটে ২৪। এরপর ৪৫ রানের মাথায় উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলেন আর এক ওপেনার নীতীশ রানা (২২)। বাকিদের ব্যাটিং নিয়ে যত কম লেখা যায় ততই ভাল। রাহুল ত্রিপাঠি সর্বাধিক ২৬ বলে ৩৬ রান করলেও তাঁর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জন্য একটাও বল না খেলে রান আউট হয়ে ফিরতে হল মর্গ্যানকে। ৬১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে নাইটরা তখন বেশ চাপে।

Advertisement

ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে রাজস্থানকে জয় এনে দিলেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ছবি - টুইটার।

স্বভাবতই এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নাইটদের ব্যাটিং। কার্তিক চেষ্টা করলেন। বরাবরের মতো রাসেলের উপর অনেক প্রত্যাশা করা হয়েছিল। কিন্তু এতে লাভ হল না। ১৮তম ওভারে রাসেল ও কার্তিককে আউট করে নাইটদের ফের জোড়া ধাক্কা দিল রাজস্থান। এ বার আগুনে বোলিংয়ে দাপট দেখালেন ক্রিস মরিস। ২৩ রানে ৪ উইকেট নিলেন। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানে আটকে গেল কেকেআর।

লিগ তালিকার দিকে তাকালে দুটো দলকে একই রকম মনে হবে। কিন্তু খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে রাজস্থান দলে একাধিক সমস্যা আছে। বেন স্টোকস, জফ্রা আর্চার চোটের জন্য নেই। জস বাটলার রান পাচ্ছেন না। তবুও স্রেফ ইচ্ছে শক্তির উপর ভর করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে সঞ্জুর দল। অন্যদিকে খাতায়-কলমে শক্তিশালী নাইট বাহিনী। দলে একাধিক তারকা। কিন্তু দলগত খেলার কথা এলেই মর্গ্যানের দলকে যেন ফুটো কলসির মতো দেখাচ্ছে। অদ্ভুত ক্রিকেট খেলে কলকাতাকে রোজ একরাশ লজ্জা দিয়ে যাচ্ছে নাইট রাইডার্স।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement