—ফাইল চিত্র।
গত বার তাঁর দল হতাশ করেছিল আইপিএলে। তাঁর ক্রিকেট জীবনের সায়াহ্নে এসে কি আর এক বার জ্বলে উঠতে পারবেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি? এই প্রশ্নই এখন চেন্নাই সুপার কিংস এবং ধোনি-ভক্তদের মনে। আর নেট প্র্যাক্টিস যদি কোনও ইঙ্গিত দেয়, তা হলে কিন্তু এ বারের আইপিএলে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা যেতে পারে ভারতের বিশ্বজয়ী অধিনায়ককে।
সোমবার মুম্বইয়ে চেন্নাইয়ের প্র্যাক্টিসে পুরনো মেজাজে দেখা গিয়েছে ধোনিকে। নেটে ব্যাটিং করার সময় যেখানে তিনি একটার পর একটা বল উড়িয়ে দিয়েছেন গ্যালারিতে। এ দিন সিএসকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে টুইটারে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিধ্বংসী মেজাজের ধোনিকে। স্পিনারদের উপরে বেশি নির্দয় ছিলেন সিএসকে অধিনায়ক। কখনও ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে এসে, কখনও স্লগ সুইপ করে বল উড়িয়ে দিয়েছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল।’ তাঁদের অধিনায়ককে এই মেজাজে দেখে নিশ্চয়ই খুশি হবেন চেন্নাইয়ের ভক্তরা।
আইপিএলের দুই শক্তিশালী দলের অন্যটি, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আবার প্রস্তুতি নিচ্ছে চেন্নাইয়ে। এই দলের অন্যতম শক্তি হল দুই পাণ্ড্য ভাই। যাঁর মধ্যে ক্রুণালের মুখে শোনা গিয়েছে তাঁর বাবার কথা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় ক্রুণাল বলেছেন, ‘‘বাবার মৃত্যুর পরে গত কয়েকটা মাস আমাদের খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা (ক্রুণাল ও হার্দিক) একটা ব্যাপার বুঝেছি যে, বাবা কতটা আত্মত্যাগ করেছিলেন।’’
জানুয়ারি মাসে, ৭১ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ক্রুণাল-হার্দিকের বাবা হিমাংশু পাণ্ড্য। এর পরে ভারতের হয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জীবনের প্রথম এক দিনের ম্যাচে খেলতে নেমে হাফসেঞ্চুরি করে কেঁদে ফেলেছিলেন ক্রুণাল। সেই ইনিংস উৎসর্গ করেছিলেন প্রয়াত বাবাকে। এ বার আইপিএল শুরুর মুখে দাঁড়িয়ে ক্রুণালের মুখে শোনা গিয়েছে তঁার প্রয়াত বাবার কথা।
ক্রুণাল বলেছেন, ‘‘এটা বলতে পারি, বাবা যে পরিশ্রম, আত্মত্যাগটা করে গিয়েছিলেন, তার ফল এখন ভোগ করছি আমি আর হার্দিক। উনি বীজ বপন করেছিলেন আর তা লালনও করেছিলেন। এখন বাবা নেই আর কত কিছু ভাল ব্যাপার ঘটে চলেছে।’’ আবেগাপ্লুত এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার আরও বলেছেন, ‘‘কখনও কখনও মনে হয়, আমার হৃদয়ের একটা অংশ বাবার সঙ্গেই চলে গিয়েছে।’’
কথায় আছে, সময় সব কিছু ভুলিয়ে দেয়। ক্রুণালও সেটা জানেন। বলেছেন, ‘‘জানি, লোকে বলে থাকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু ভুলে যাওয়া যায়। কিন্তু আমার মনে হয়, যখনই ভাল কিছু করব, তখনই আমার বাবার কথাটা মনে পড়ে যাবে।’’ স্মৃতি রোমন্থন করে বাঁ-হাতি স্পিনার বলেন, ‘‘জানুয়ারি মাসে আমি মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতায় খেলছিলাম। মৃত্যুর দু’দিন আগে বাবা আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘তোমার ইনিংসটা দেখলাম। ছ’বছর বয়স থেকে তোমার খেলা দেখেছি। এই ইনিংসটা দেখার পরে বলছি, তোমার সময় খুব তাড়াতাড়ি আসবে।’ বাবার সঙ্গে ওটাই ছিল আমার শেষ কথা।’’