রবিবারের ম্যাচে কোহলী। ছবি আইপিএল
রবিবার একসময় ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে হচ্ছিল, লড়াইটা বোধহয় চেন্নাই বনাম বেঙ্গালুরু নয়, রবীন্দ্র জাডেজা বনাম বেঙ্গালুরুর হচ্ছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং— তিন বিভাগেই রবীন্দ্র জাডেজার কাছে হেরে গেল বিরাট কোহলীর আরসিবি। প্রথমে ব্যাট হাতে ২৮ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলার পর বল হাতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিলেন জাডেজা। ফিল্ডিংয়েও রান আউট করে দেন ড্যান ক্রিশ্চিয়ানকে।
ম্যাচের পর জাডেজাকে কুর্নিশ করলেন কোহলীও। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কোহলী ইতিমধ্যেই স্বপ্ন দেখছেন সেখানে জাডেজাকে দিয়ে বাজিমাত করার। বললেন, “ও এমন একজন ক্রিকেটার যাকে আমি বরাবর বিশ্বাস করে এসেছি। ওর দক্ষতা কতটা সেটা সবাই জানে। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে চোট পাওয়ার পর অনেকদিন খেলার বাইরে ছিল। তিন বিভাগেই আজ দাপট দেখিয়েছে। ভারতের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে পুরনো ছন্দে পেয়ে ভাল লাগছে। যখন ও ভাল খেলে তখন শুধু চেন্নাই নয়, ভারতের হয়েও অনেক বিকল্প খুলে যায়। স্বীকার করতে বাধা নেই, ও একাই আজ আমাদের হারিয়ে দিল।”
বড় ব্যবধানে হেরেও ভেঙে পড়ছেন না কোহলী। বরং তাঁর মতে, মরসুমের শুরুতে এই হার বাকিদের চোখ খুলে দেবে। বলেছেন, “হারটা অন্য আঙ্গিকে দেখছি। এটা একদম ঠিক সময়ে আমাদের সঙ্গে ঘটেছে। কোথায় ভুল হয়েছে সেটা আমাদের দেখতে হবে। ম্যাচের অনেকটা সময়েই আমরা লড়াইতে ছিলাম। কিন্তু আসল মুহূর্তগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।”
শেষ ওভারে ৩৭ রান খেলেও হর্ষল পটেলের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন না কোহলী। বলেছেন, “ওকে ভবিষ্যতে আরও দায়িত্ব দেব। মনে রাখবেন, আজ কিন্তু দু’জন থিতু হওয়া ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ম্যাচ আমাদের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল।” ওয়াশিংটন সুন্দরকে তিনে পাঠানো নিয়ে তাঁর অভিমত, “ওকে এ ভাবে পরেও পাঠাব। সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে তবেই শিখবে। আমরা জানি ওর পিছনে ম্যাক্সওয়েল এবং এবি-র মতো ব্যাটসম্যানরা রয়েছে।”