সিএসকে শিবিরে এখন শুধুই হাসি। ছবি আইপিএল
মাত্র কয়েক মাসেই বদলে গিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। মাস ছয়েক আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যে দল প্রতি ম্যাচে হোঁচট খেতে খেতে আট দলের মধ্যে সপ্তম স্থানে শেষ করেছিল, তারাই চলতি আইপিএল-এর প্রায় মাঝপথে লিগের মগডালে উঠে বসে আছে। কী কারণে এতটা বদলে গেল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল, তা জানতে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন ক্রিকেট-পণ্ডিতরা।
তবে ধোনি এবং দলের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের মতে, দায়িত্ব নেওয়া এবং বদলে যাওয়া মানসিকতার জন্যেই সাফল্য ফিরেছে তাঁদের দলে। প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হারার পর টানা পাঁচটি ম্যাচে জিতেছে চেন্নাই। ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা লিগ শীর্ষে।
বুধবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারানোর পর ধোনি বলেছেন, “প্রতিযোগিতা শুরুর সময় প্রথম একাদশ বাছা নিয়ে কিছুটা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নেওয়া যায় ততই ভাল। আরও একটা ব্যাপার হচ্ছে, গত বার আমরা প্রত্যেকেই ৫-৬ মাস ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম। কোনওকিছুরই অনুমতি ছিল না। নিভৃতবাস বদলাচ্ছিল বারবার। ক্রিকেটারদের মানিয়ে নিতে অসুবিধে হচ্ছিল। এবার ওরা অনেক বেশি দায়িত্ব নিয়ে খেলছে।”
ধোনির মুখে উঠে এসেছে সুখী পরিবারের কথাও। বলেছেন, “কঠিন পরিস্থিতি আসবেই। কিন্তু সেই মুহূর্তে কোনও ক্রিকেটার কী ভাবে নিজেদের তুলে ধরছে, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। গত ৮-১০ বছরে খুব বেশি বার আমরা খেলোয়াড় বদলাইনি। তাই বেশিরভাগই জানে ওদের কী দায়িত্ব। পাশাপাশি তাদেরও প্রশংসা করতে চাই, যারা খুব বেশি খেলার সুযোগ পায় না। নিজেকে সবসময় একটা এমন মানসিকতার মধ্যে রাখতে হয় যেখানে সুযোগ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ভাল রাখাটাও এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ।”
কোচ ফ্লেমিং বলেছেন, “গত মরসুমে অনেক কিছুই আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। এবার শুরু থেকেই নিজেরা কী করতে চাই, কী ঘরানায় খেলতে চাই সে ব্যাপারে ঠিক করে নিয়েছিলাম। মানসিকতার এই বদলটাই অনেকটা সাহায্য করছে। আমরা চেন্নাইয়ে নেই, অন্য জায়গায় খেলছি। তাই প্রতি ম্যাচে আমাদের সেরাটা দিতে হবে, এই মনোভাব নিয়েই নামি।”
বুধবারের ম্যাচের নায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ও দলের পরিবর্তন মেনে নিয়েছেন। বলেছেন, “এবার মানসিক ভাবে আমরা অনেক শক্তিশালী। আরও বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, আরও বেশি আক্রমণাত্মক এবং ভয়ডরহীন। প্রতিটা ম্যাচে আমরা দাপট দেখাতে চাই।”