আইপিএল স্থগিত। বিদেশি ক্রিকেটাররা ফিরে যাচ্ছেন নিজেদের দেশে। বাড়ির পথ ধরেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। কিন্তু কোন পথে কেন বন্ধ হল আইপিএল? দেখে নেওয়া যাক।
সোমবার করোনা আক্রান্ত হন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বরুণ চক্রবর্তী এবং সন্দীপ ওয়ারিয়র। বাতিল হয়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে কলকাতার ম্যাচ। সোমবারেই করোনা সংক্রমিত হয় চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরও। ক্রিকেটার নন, চেন্নাই দলে আক্রান্ত হন বোলিং প্রশিক্ষক লক্ষ্মীপতি বালাজি। দিল্লির মাঠের একাধিক কর্মীও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়।
কলকাতা এবং চেন্নাই দল চলে যায় নিভৃতবাসে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আইপিএল নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। জানা যায় আইপিএল সরে যেতে পারে মুম্বইয়ে। ৭ মে থেকে নাকি সেখানেই হবে খেলা। তবে বাকি ম্যাচগুলোর কী হবে? সেই নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি।
এমন অবস্থায় জানা যায় করোনা আক্রান্ত ঋদ্ধিমান সাহা। নিভৃতবাসে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দল। করোনা আক্রান্ত অমিত মিশ্র। নিভৃতবাসে যেতে হয় দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরকেও। একের পর এক এমন ঘটনা আশঙ্কা তৈরি করে। আইপিএল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। প্রথমে জানা যায় এক সপ্তাহের জন্য। পরে বোর্ডের তরফে বলা হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল। ক্রিকেটার এবং অন্যান্য সদস্যদের বাড়ি ফিরে যেতে বলে বোর্ড। বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করার আশ্বাসও দেয় বিসিসিআই।
সৌরভের বোর্ডের বিরুদ্ধে ১০০০ কোটি টাকার জনস্বার্থ মামলা করা হয় বম্বে হাইকোর্টে। তবে আশা ছাড়ছেন না সৌরভ। সেপ্টেম্বরে আইপিএল-এর বাকি ম্যাচ আয়োজন করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। নইলে বোর্ডের ক্ষতি হতে পারে ২৫০০ কোটি টাকা।