আইপিএল মিটলেই কোহলীদের সঙ্গে ইংল্যান্ডে যাবেন স্টিভ স্মিথরা। ফাইল চিত্র
আইপিএল শেষ হলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে একই বিমানে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ডে উড়ে যাবেন। সেই বিশেষ বিমানে ইংল্যান্ডের একাধিক ক্রিকেটারদেরও থাকার কথা। এখন শোনা যাচ্ছে সেই বিমানে অস্ট্রেলিয়ার ১৪জন ক্রিকেটার, বিভিন্ন দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা অজি প্রশিক্ষক ও ব্রেট লি, ম্যাথু হেডেনের মতো ধারাভাষ্যকারদেরও চাপিয়ে দেওয়া হবে। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ার একটি পডকাস্ট চ্যানেলকে এমনটাই জানিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ক্রিকেটার। বিসিসিআইয়ের তরফ থেকেও এমনটাই জানানো হয়েছে।
সেই পডকাস্ট চ্যানেলে ম্যাক্সওয়েল বলেন, “সব মিটে গেলে দিনের শেষে সুস্থ ভাবে ঘরে ফিরতে হবে। এখন মাথায় এটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সরকার ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বিসিসিআই-এর সঙ্গে কথা বলছে। ইংল্যান্ডে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলার জন্য ভারত ও নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা একই বিমানে ইংল্যান্ড উড়ে যাবে। সেই বিমানে আবার ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের থাকার কথা। ওই বিশেষ বিমানে আমাদের জন্য ব্যবস্থা করা হলে দারুণ হবে। কারণ ইংল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরা মোটেও কঠিন নয়।”
আগামী ১৮ জুন থেকে শুরু হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই জন্য আইপিএল শেষ হলেই একই বিমান ধরবে বিরাট কোহলী ও কেন উইলিয়ামসনের দল। কয়েক দিন আগে বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল এই একই বিমানে অজিদের চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ইংল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া অনেক সহজ। বিসিসিআই সেই দিকটা ভেবে দেখছে।”
তবে এর বাইরে আরও একটা দিক নিয়ে চিন্তিত ম্যাক্সওয়েল। ভারতে প্রতি মুহূর্তে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা বাড়ছে। এই মুহূর্তে ভারতে প্রায় ৫০০০ অস্ট্রেলীয় রয়েছেন। একাধিক কাজের সঙ্গে থাকা অজিরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছেন। সবাই যে জৈব বলয়ে রয়েছেন তেমনটাও নয়। ফলে আইপিএল-এর জগতের বাইরে থাকা অজিদের শারীরিক অবস্থা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। কারণ তাঁদের শরীরেও এই ভাইরাস থাবা বসাতে পারে। তাই ম্যাক্সওয়েল বললেন, “আমরা তো জৈব বলয়ে আছি। আইপিএল শেষ হলেই বলয় ভেঙে সুস্থ ভাবে দেশে ফিরে যাব। কিন্তু আমার দেশের বাকি লোকগুলোর কী হবে সেটা নিয়েও চিন্তায় আছি। তাঁরা যদি এই ভাইরাস শরীরে বহন করে আমাদের দেশে ঢুকে যায় তাহলে তো ব্যপারটা আরও মারাত্মক হয়ে যেতে পারে।”