আইপিএল-এর বাকি ম্যাচগুলো বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করা যাবে তো? উঠছে প্রশ্ন।
কোভিডের জন্য থেমে যাওয়া আইপিএল-এর বাকি ম্যাচগুলো বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করা যাবে তো? অইন মর্গ্যান, আন্দ্রে রাসেল, কায়রন পোলার্ড, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথের মতো ক্রিকেটাররা আদৌ অংশ নিতে পারবেন তো? উঠছে প্রশ্ন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আগামী ১৯ কিংবা ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আইপিএল শুরু হতে পারে। ফাইনাল হতে পারে ১০ অক্টোবর। কিন্তু সেই সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই-এর কাছে আইপিএল আয়োজন করা বেশ চ্যালেঞ্জের। কারণ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে একাধিক দল প্রস্তুতির জন্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে ব্যস্ত থাকবে।
অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর: আগামী অগস্ট মাসে বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। সেখানে গিয়ে শাকিব, তামিমদের বিরুদ্ধে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে অজিরা। কয়েক দিন আগেই বিসিবি-র চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন অধিনায়ক আক্রম খান এই সফরের ব্যাপারে ঘোষণা করেছেন।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ: আগামী ২৮ অগস্ট থেকে শুরু হবে সিপিএল। চলবে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর আগে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সেই সিরিজ শেষ হবে ২০ অগস্ট। দুই দলের শেষ টি-টোয়েন্টি ও প্রথম টেস্টের মধ্যে ৯ দিনের বিরতি আছে। তেমনই আবার প্রথম টেস্ট ও দ্বিতীয় টেস্টের মাঝে রয়েছে ৪ দিনের বিশ্রাম। এই বিরতি কমিয়ে আনা গেলে সিপিএল আগে থেকে আয়োজন করতে পারে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআই কর্তারাও সেটাই চাইছেন। কারণ সিপিএল-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার একাধিক ক্রিকেটার অংশ গ্রহণ করেন।
ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফর: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য আগামী অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে যাবে অইন মর্গ্যানের দল। ইসিবি-র পরিচালক অ্যাশলে জাইলস আগেভাগে এই দুটো সফরের কথা বেন স্টোকস, জশ বাটলারদের জানিয়ে রেখেছেন। তাই এই সফর বাতিল করে আইপিএল খেলা বেশ চাপের।
ফলে আইপিএল-এর জন্য এতগুলো আন্তর্জাতিক সূচি বাতিল করা ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে বোঝানো এখন বিসিসিআই কর্তাদের বড় কাজ বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।