Andre Russell

ইডেনের সমর্থন প্রেরণা রাসেলের

ষাট  হাজার সমর্থকদের উন্মাদনা তাঁর মধ্যে ভাল কিছু করার বাড়তি তাগিদ তৈরি করে। বিশেষ কিছু করে দেখানোর আগুন  জ্বলে তাঁর মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২১ ০৫:০২
Share:

প্রস্তুতি: নাইটদের অনুশীলনে আগ্রাসী মেজাজে রাসেল। টুইটার

জৈব সুরক্ষিত বলয়ের মধ্যে থেকে পরপর দু’টি আইপিএল খেলতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। অর্থাৎ সমর্থকদের সামনে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার সেই উন্মাদনা থেকে বঞ্চিত বহু দিন। ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেই ফাঁকা মাঠে আইপিএল উপভোগ করছেন না। তাঁদের মধ্যে অন্যতম আন্দ্রে রাসেল। শনিবার নাইটদের ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ইডেনের সমর্থন না পেয়ে হতাশ। ষাট হাজার সমর্থকদের উন্মাদনা তাঁর মধ্যে ভাল কিছু করার বাড়তি তাগিদ তৈরি করে। বিশেষ কিছু করে দেখানোর আগুন জ্বলে তাঁর মধ্যে।

Advertisement

রাসেল বলেছেন, ‘‘সমর্থকদের সামনে খেলতে না পারা খুব হতাশজনক। বিশেষ করে, ইডেনের সমর্থকদের উন্মাদনার অভাব প্রত্যেক মুহূর্তে অনুভব করি। হাজার হাজার সমর্থক আমার জন্য গলা ফাটাতেন। সেটাই আমার মধ্যে ভাল কিছু করার তাগিদ বাড়িয়ে দিত। আগুন জ্বলে উঠত বুকের মধ্যে।’’ যোগ করেন, ‘‘একটি বল খেলার আগেই সমর্থকেরা আমার জন্য গলা ফাটাতেন। মাঠে প্রবেশ করার সময়ই শোনা যেত সমর্থকদের চিৎকার। এই অনুভূতি ফাঁকা মাঠে তো পাওয়া যাবে না।’’

সাক্ষাৎকারের মাঝে রাসেল ফিরে গিয়েছিলেন পুরনো দিনে। স্মৃতি রোমন্থন করে মনে করিয়ে দেন, ২০১৪ সালের নিলামে প্রথম দিন ‘অবিক্রিত’ ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দিন সেই তালিকা থেকেই রাসেলকে নেয় কেকেআর। প্রথম মরসুমে নাইট জার্সিতে ট্রফি জিতেছেন ঠিকই। কিন্তু সেই বছরে কোনও অবদান ছিল না ‘ড্রে রাসের’। এখন তাঁর উপরেই নির্ভর করে দল। তাই রাসেল চান এই দলের হয়ে ট্রফি জিততে।

Advertisement

রাসেলের কথায়, ‘‘২০১৪ সালে আইপিএল জেতার পরে দেখেছিলাম, সতীর্থেরা আনন্দে কাঁদছে। জেতার পরে কতটা যে আনন্দ হয়েছিল, বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আরও এক বার সেই অনুভূতি চাই। পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে ট্রফি হাতে তুলে নিতে চাই। খাতায়-কলমে আমাদের দল ট্রফি জেতার মতোই শক্তিশালী। কিন্তু মাঠে গিয়ে সেটা করে দেখাতে পারছি না।’’

রাসেল ফিরে গিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। সে বছর ডোপ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হয়ে এক বছর কোনও ধরনের ক্রিকেটেই খেলতে পারেননি। বলেছেন, ‘‘আমার জীবনের সব চেয়ে কঠিন বছর কাটিয়েছি ২০১৭ সালে। যখন কেউ ভাল কিছু করে, নানা ধরনের কারণ দেখিয়ে তাঁকে থামানোর চেষ্টা করা হয়। তবে সেই বছরটি আমাকে আরও শক্তিশালী হতে শিখিয়েছে।’’ অনেকেই ভেবেছিলেন, রাসেল হয়তো আর আগের মতো বিধ্বংসী হয়ে ফিরতে পারবেন না। সমালোচকদের ধারণা ভুল প্রমাণ করে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে নাইট জার্সিতে একের পর এক ম্যাচ জেতাতে থাকেন রাসেল। সোমবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধেও রাসেলের ব্যাটে ঝড় দেখা যায় কি না, তা সময়ই বলবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement