নতুন মরসুম শুরু করার আগে আত্মবিশ্বাসী নাইট অধিনায়ক। ছবি - টুইটার
ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় ডান হাতের মধ্যমায় চোট পেয়েছিলেন। তবে এখন অনেকটা সুস্থ আছেন অইন মর্গ্যান। শিবিরে যোগ দিয়ে ইতিমধ্যেই নিভৃতবাসে রয়েছেন নাইট সেনাপতি। গত মরসুমে অধিনায়কত্বে রদ বদলের জন্য দল ডুবেছে। যদিও মর্গ্যান মনে করেন এ বার নতুন আইপিএল মরসুমে নতুন দল দেখা যাবে। তাঁর মতে হরভজন সিংহের আসা অন্য মাত্রা যোগ করবে। ১১ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এর আগে মর্গ্যানের সাংবাদিক সম্মেলন তুলে ধরা হল।
ভাজ্জি বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখাবে: হরভজনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের থাকা দলের স্পিন শক্তি বাড়াবে। আমার মতে আমাদের দলের স্পিন বিভাগ বেশি শক্তিশালী। আমরা মুম্বই ছাড়াও চেন্নাইতে খেলব। সেখানে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পায়। তাই ভাজ্জির সঙ্গে সুনীল নারাইন ও বরুণ চক্রবর্তীর থাকা দলকে উদ্বুদ্ধ করবে।
ব্যাটিং বিভাগে একাধিক তারকা: গত বছরের খেলা দেখে অনেকেই আমাদের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। তবে আমার মতে আমাদের দলে ওপেনিং থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার সব জায়গায় একাধিক ম্যাচ জেতানো ক্রিকেটার রয়েছে। দীনেশ কার্তিক, সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল ও শাকিব আল হাসানকে পরিস্থিতি অনুসারে ব্যাটিংয়ে রদ বদল করতে পারি। সঙ্গে রয়েছি আমি। তাই আমাদের দলে একাধিক ব্যাটসম্যান ছন্দে থাকলে বিপক্ষের চিন্তা বাড়বে।
ভাজ্জিকে দিয়ে বাজিমাত করতে মরিয়া কেকেআর। ফাইল চিত্র।
বিপক্ষ অনুসারে প্রথম একাদশ গড়া হবে: আইপিএল ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা। এখানে প্রতিটা দল সমান শক্তিশালী। তবে এমন গরম ও পরপর ম্যাচ থাকায় দলে চোট-আঘাত বাড়তে পারে। তাই সেগুলো মাথায় রেখে দল গড়া হয়েছে। আমাদের দলে কিছু ম্যাচ জেতানো ক্রিকেটার আছে, দল তাদের উপর বাড়তি নির্ভর করে। কিন্তু এমন কিছু ক্রিকেটার আছে যারা প্রয়োজনে নিজেদের মেলে ধরতে বদ্ধ পরিকর। তাই বিপক্ষ দল ও পিচ দেখে চূড়ান্ত প্রথম একাদশ গড়া হবে।
মধ্যমার চোট সারছে: আমার আঙুলের অবস্থা এখন অনেকটা ভাল। গত সপ্তাহের থেকে মধ্যমা অনেক ভাল জায়গায় আছে। বৃহস্পতিবার সেলাই কাটা হবে। তারপর নিভৃতবাস শেষ হলেই ব্যাট হাতে নেমে পড়ব। সঙ্গে চলবে ফিল্ডিং অনুশীলন। কারণ প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে চাই।
প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ অনেক ম্যাচ জেতাবে: প্রসিদ্ধের অভিষেকের সময় ওকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। আমার মতে একজন খেলোয়াড় যখন দেশের হয়ে প্রথম বার খেলতে নামে তখন তাঁর সঙ্গে সেই পরিবার, বন্ধুবান্ধব, পাড়া, ক্লাব অনেকের আবেগ জড়িয়ে থাকে। গত মরসুমে ওকে দেখার পরেই মনে হয়েছিল প্রসিদ্ধ খুব দ্রুত ভারতের হয়ে খেলবে। দেশের হয়ে দারুণ ফল করার পর ওর আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রয়েছে। তাই আমার বিশ্বাস প্রসিদ্ধ এ বার দলকে অনেক ম্যাচ জেতাবে।