চর্চায়: শুটিংয়ে ‘হুইস্ল’ দিচ্ছেন ধোনি। নজরে তিনিই। সিএসকে
গত জুলাইয়ে তাঁকে শেষ বার ক্রিকেট মাঠে দেখা গিয়েছে। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়া বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সদ্য অবসর ঘোষণা করা মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে ফের দেখা যাবে আইপিএলের মঞ্চে। তাই এ বারের আইপিএল স্মরণীয় হয়ে থাকতে চলেছে বীরেন্দ্র সহবাগের কাছে।
ভারতের প্রাক্তন বিধ্বংসী ওপেনার বলেছেন, ‘‘সবার কাছেই এ বারের আইপিএলটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ক্রিকেটার, দর্শক— কেউ বাদ যাবে না। ধোনিকে আবার খেলতে দেখার মজাটাই আলাদা।’’ ১৯ সেপ্টেম্বর, আইপিএলের প্রথম দিনেই মাঠে নামবেন ধোনি। উদ্বোধনী ম্যাচেই গত বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস।
সহবাগ মনে করেন, এ বারের আইপিএলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। বীরুর কথায়, ‘‘লকডাউনে আমি অনেক পুরনো ম্যাচ দেখেছি। আমার নিজের খেলাও। বাড়িতে বসে সে সব খেলার বিশ্লেষণও করেছি। ভারতীয়দের রক্তে ক্রিকেট। তাই ক্রিকেট ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে সকলে।’’
প্রথম ম্যাচে নামার আগে অবশ্য একটু বেকায়দায় আছে ধোনির চেন্নাই। সুরেশ রায়নার আইপিএল না খেলাটা এ বার চেন্নাইকে বড় ধাক্কা দেবে বলে মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ব্যাটসম্যান ডিন জোন্স। তিনি বলেছেন, ‘‘আইপিএলের প্রথম পাঁচ রানস্কোরারের এক জন রায়না। ও বাঁ-হাতি, স্পিনটাও খুব ভাল খেলে। চেন্নাইয়ের একটা সমস্যা হল, ওদের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই ডান-হাতি। তাই রায়নার অভাব ওরা ভাল মতো টের পাবে।’’
আরও পড়ুন: ম্যাক্সওয়েল, ক্যারি জুটিতে রুদ্ধশ্বাস জয় অস্ট্রেলিয়ার
তিন নম্বরে রায়নার বিকল্প কে হতে পারেন? জোন্সের মুখে শোনা গিয়েছে ইংল্যান্ডের বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার স্যাম কারেনের নাম। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘‘চেন্নাইয়ের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান দরকার। না হলে ওরা আটকে যেতে পারে। বিশেষ করে যখন লেগস্পিনাররা বল করবে। ব্যাটিং অর্ডারের উপরের দিকে স্যাম কারেন বা রবীন্দ্র জাডেজার কথা ভাবা যেতে পারে।’’ সমস্যা হল, ১৭ তারিখে আমিরশাহিতে আসছেন ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা। তার পরে নিভৃতবাসের পালা। তাই প্রথম কয়েকটা ম্যাচে কারেনকে পাওয়া কঠিন। সরে দাঁড়িয়েছেন হরভজন সিংহও। যা নিয়ে জোন্স বলছেন, ‘‘রায়না আর হরভজন— দু’জনেই এ বার খেলছে না। অধিনায়ক ধোনি আর কোচ স্টিভন ফ্লেমিংকে এ বার ওদের বিকল্প খুঁজতে হবে।’’