ছবি পিটিআই।
ব্যাট হাতে তাঁদের দু’জনের দাপট প্রথম ম্যাচে সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদকে ১০ রানে হারাতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। আইপিএলের অভিষেক ম্যাচেই ৪২ বলে ৫৬ রান করা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সেই দেবদত্ত পাড়িকল ও ৩০ বলে ৫১ রানের ইনিংস উপহার দেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান এবি ডিভিলিয়ার্স তা সত্বেও উচ্ছ্বসিত হতে নারাজ।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক ডিভিলিয়ার্স বলেছেন, ‘‘ছন্দ ধরে রাখতে পারায় আমি যেমন খুশি, তেমন অবাকও হয়েছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলাটা কাজে দিয়েছে।’’
দেবদত্তের প্রতিক্রিয়া, ‘‘গত এক মাসে বিরাট ভাইয়ের (কোহালি) কাছ থেকে অনেক পরামর্শ পেয়েছি। যখনই সামনে পেয়েছি, প্রশ্নে জর্জরিত করেছি অধিনায়ককে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ বলে শুরুর দিকে বেশ চাপে ছিলাম। কিন্তু দ্রুত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিই কয়েকটা বল খেলার পরেই।’’ দেবদত্তের প্রশংসা করেছেন ডিভিলিয়ার্স। তিনি বলেছেন, ‘‘পাড়িকলকে দারুণ লাগল। লাজুক এবং শান্ত ছেলে। ছেলেটি খুব প্রতিভাবান। আইপিএল খুব কঠিন একটা প্রতিযোগিতা। প্রতি বছরই এই প্রতিযোগিতা ১৯-২০ বছরের কিছু প্রতিভা উপহার দেয়। যাদের দেখলে মনে হয়, অনেক দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘অনেক দিন ক্রিকেটের বাইরে থেকেছি। তার পরে এই ৩৬ বছর বয়সে একাধিক তরুণ ক্রিকেটারের মাঝে খেলতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি।’’
ম্যাচ জিতে খুশি আরসিবি অধিনায়ক বিরাটও। তাঁর কথায়, ‘‘দারুণ লাগছে। গত বছর এই ম্যাচটায় হারতে হয়েছিল। এ বার দলগত পারফরম্যান্স ভাল হয়েছে।’’
বিরাট উচ্ছ্বসিত লেগস্পিনার যুজ়বেন্দ্র চহালকে নিয়েও। ১৬তম ওভারে বল করতে এসে পর পর দুই বলে জনি বেয়ারস্টো এবং বিজয় শঙ্করকে বোল্ড করে আরসিবির জয়ের রাস্তা পরিষ্কার করে দেন চহাল। যে প্রসঙ্গে বিরাট বলেছেন, ‘‘চহাল বল করতে এসেই আমাদের জয় নিশ্চিত করে দেয়। ও প্রমাণ করে দিয়েছে, দক্ষতা থাকলে যে কোনও উইকেটেই ব্যাটসম্যানকে আউট করে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। ও যে রকম আগ্রাসী বোলিং করেছে, তাতেই ম্যাচের ভাগ্য ঘুরে গিয়েছে।’’
১৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে আরসিবির জয়ের সেই অন্যতম নায়ক চহাল বলছেন, ‘‘প্রথম ওভারেই বুঝে যাই, উইকেট টু উইকেট বল করতে হবে। একটা সময় বিপক্ষ ভালই ব্যাট করছিল। ওই সময়ে বল ভাসিয়ে বা বাইরে রেখে ওদের উপরে চাপ সৃষ্টি করছিলাম।’’ যোগ করেছেন, ‘‘বেয়ারস্টোকে আবার লেগস্টাম্পের কিছুটা বাইরে বল করছিলাম, যাতে স্পিন বুঝতে গিয়ে বিভ্রান্ত হয় ও। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। আর বিজয় শঙ্কর ক্রিজে আসতেই বিরাট ও এবি এসে আমাকে গুগলি দিতে বলে। হাতে মাটি মেখে নিয়ে বুঝেছিলাম, শিশির নেই। সুতরাং সমস্যা হবে না।’’
আরসিবির তরুণ প্রজন্মের প্রশংসা করে অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘দেবদত্ত দারুণ ব্যাট করল প্রথম ম্যাচে। সঙ্গে শিবম দুবেও শেষ তিন ওভার ভাল বল করেছে।’’ বাদ যায়নি এবি ডিলিভিয়ার্স প্রসঙ্গও। তাঁর সম্পর্কে বিরাট বলেন, ‘‘ওর ঝোড়ো ইনিংস আমাদের রান ১৬০-এর উপরে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।’’