কাগিসো রাবাডা।ছবি: পিটিআই।
শ্রেয়স আয়ার। এ বারের আইপিএলে তাঁর মোট রান ৩৩৫। ২৫ বছর বয়সি দিল্লির তরুণের নেতৃত্ব দেওয়ার ধরন দেখে মুগ্ধ কাগিসো রাবাডা। দিল্লি ক্যাপিটালসের দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মনে করেন শ্রেয়সের সব চেয়ে বড় গুণ, তিনি সব সময় সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেন।
তথাকথিত ‘হেভিওয়েট’ দলগুলিকে পিছনে ফেলে দশ ম্যাচের সাতটিতে জিতে দিল্লি আইপিএল টেবলের শীর্ষে ওঠায় তাঁদের নিয়ে উচ্ছ্বাসটা খুব বেশি। রাবাডার ধারণা, ড্রেসিংরুমের খোলামেলা পরিবেশই এ বার দিল্লির সাফল্যের অন্যতম কারণ। ‘‘শ্রেয়স সত্যিই অবিশ্বাস্য অধিনায়ক। তার উপর ওর বয়সও কম। বড় কোনও টুর্নামেন্টে অনেক বিদেশি ক্রিকেটার আছে এমন দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সহজ নয়। সেখানে ও কিন্তু নিজের কাজটা অসাধারণ দক্ষতায় করে যাচ্ছে। এবং সব সময় সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে,’’ বলেছেন রাবাডা।
এখানেই থামেননি রাবাডা। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস-প্রতিভা আইপিএলে নিজের দলের অধিনায়ককে নিয়ে আরও বলেছেন, ‘‘শ্রেয়স একেবারে সাধারণ একটা ছেলের মতো। মাঠে মাথা অসম্ভব ঠান্ডা থাকে। অধিনায়ক বলে সব সিদ্ধান্ত তো ওকে নিতেই হবে। তবে কোচ (রিকি পন্টিং) নিশ্চয়ই সাহায্য করছেন। আর আমাদের শিবিরের পরিবেশটা দারুণ খোলামেলা। আমার তো মনে হয়, দিল্লির ভাল খেলার এটাও একটা কারণ।’’
ভাল শুরু করেও আগের ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে অবশ্য দিল্লি হেরে যায়। অথচ তৃতীয় ওভারেই অক্ষর পটেল ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কেএল রাহুলকে! কিন্তু তুষার দেশপাণ্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম ওভারে ২৬ রান তুলে খেলাটাকে নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে যান ক্রিস গেল। যা নিয়ে রাবাডার কথা, ‘‘তুষারকে এখনও অনেক কিছু শিখতে হবে। এমনিতে ও কিন্তু খারাপ বোলিং করছে না। এমনকি শেষ ম্যাচে ওর এক ওভারে ক্রিস অত রান তুললেও নয়। আসলে ওকে নিজের ছোটখাটো ত্রুটিগুলো সংশোধন করে নিতে হবে। অভিজ্ঞতা থেকে শেখাটাও একজন ক্রিকেটারের জীবনের অনেক বড় ব্যাপার।’’