বিধ্বংসী বোল্ট। মঙ্গলবার আইপিএল ফাইনালে। ছবি: আইপিএল।
কুঁচকির চোটের জন্য খেলবেন কি না, তা নিয়েই ছিল সংশয়। ট্রেন্ট বোল্ট শুধু খেললেনই না।তিন উইকেট নিয়ে তিনিই রোহিত শর্মার দলের সফলতম বোলার হয়ে উঠলেন।
আইপিএল ফাইনালের প্রথম বলেই বোল্ট ঝটকা দিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসকে। পরের ওভারে নিয়েছিলেন আরও এক উইকেট। বাঁ-হাতি পেসারের দাপটে ফাইনালের শুরুতে ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ছিল শ্রেয়াস আয়ারের দল। যা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে পৌঁছে দিয়েছিল চালকের আসনে।
তিন ওভারে ২৪ রান দিয়ে মার্কাস স্টোইনিস ও অজিঙ্ক রাহানের উইকেট। পাওয়ারপ্লে-তে এটাই বোল্টের বোলিং গড়। ম্যাচের প্রথম বলে অসাধারণ ডেলিভারিতে ফিরিয়েছিলেন স্টোইনিসকে। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে ফেরালেন রাহানেকে। দুই ক্ষেত্রেই ক্যাচ ধরলেন উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কক। দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ারকেও প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর খোঁচা কিপার ও স্লিপের মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। যতই ঋষভ পন্থর সঙ্গে শ্রেয়াস লম্বা জুটি গড়ুন, সেই ধাক্কা পুরোপুরি সামলে ওঠা যায়নি।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্টের পর সিরিজে নেই কোহালি, হতাশ স্টিভ
আরও পড়ুন: খুলছে দরজা, ওভালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দিনরাতের টেস্টে থাকবেন ২৭ হাজার দর্শক
ডেথ ওভারে ফিরে এসেও উইকেট নিলেন বোল্ট। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফেরালেন সিমরন হেটমায়ারকে। শেষ পর্যন্ত তাঁর বোলিং গড় দাঁড়াল ৪-০-৩০-৩। যার মধ্যে ডট বলের সংখ্যা ১২।
এ বারের আইপিএলে অবিশ্বাস্য ছন্দে বল করেছেন এই কিউয়ি পেসার। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিযোগিতায় পাওয়ারপ্লে-তে ৩৬ ওভারে ১৩.৫ স্ট্রাইক রেটে ১৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একমাত্র মিচেল জনসনের এই কৃতিত্ব রয়েছে। ২০১৩ সালের আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়েই জনসনও পাওয়ারপ্লে-তে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন ।
তাৎপর্যের হল, দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে এসেছিলেন বোল্ট। আর ফাইনালে তিনিই জোর আঘাত হানলেন দিল্লির ইনিংসে। প্রধানত, বোল্টের আগুনে বোলিংয়ের জন্যই ক্যাপিটালস ১৫৬ রানের বেশি তুলতে পারল না।