ম্যাচের সেরা চহাল। ছবি- আরসিবি-র ফেসবুক পেজ থেকে।
যেন তাসের ঘর! ১৬৪ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক সময় দুই উইকেটে ১২১ ছিল স্কোর। সেখান থেকে ২৬ বলে ৩২ রানে শেষ আট উইকেট পড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। যার নেপথ্যে যুজভেন্দ্র চহালের ভেলকি।
১০ রানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের নাটকীয় জয়ের নায়ক লেগস্পিনারই। ১৮ রানে তিন উইকেট নিলেন তিনি। মণীশ পাণ্ডেকে ফেরানোর পর তাঁর চতুর্থ ওভারে নিলেন জনি বেয়ারস্টো ও বিজয় শঙ্করকে। ওই জোড়া ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি হায়দরাবাদ।
ম্যাচের পর তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন আরসিবি নেতা বিরাট কোহালি। বললেন, “যুজি সম্পূর্ণ ভাবে ম্যাচের চেহারা বদলে দিল। এই পিচ থেকে খুব একটা সুবিধা আদায় করতে পারেনি অন্য স্পিনাররা। কিন্তু ও দেখিয়ে দিল যে কব্জিতে মোচড় থাকলে বল ঘোরানো সম্ভব। ওই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিল।”
আরও পড়ুন: দেবদত্ত উদয়ে বিরাট জয়
স্বয়ং চহালের মুখে আবার বিরাটের নাম। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে বললেন, “স্টাম্প টু স্টাম্প লাইনে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমার অধিনায়কের নির্দেশ ছিল আক্রমণে যেতে। একটা সময় ওরা খুব ভাল ব্যাটিং করছিল। ফলে আমি দূরে দূরে বল রেখে ঘোরাচ্ছিলাম। ওই ধরনের বলে মারা কঠিন। বেয়ারস্টোর ক্ষেত্রে আমি বলটা একটু লেগের দিকে রেখেছিলাম। আর বিজয় শঙ্করের ক্ষেত্রে বিরাট কোহালির সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। আমরা ঠিক করেছিলাম যে গুগলি দেব প্রথম বলেই।” বিরাটের পরামর্শে চহালের গুগলিতে ভাঙে বিজয় শঙ্করের স্টাম্প।
আর সেই ওভারকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলে মেনে নিচ্ছেন সানরাইজার্স অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও। তাঁর কথায়, “হ্যাঁ, সম্ভবত ওই ওভারই আমাদের থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিল।”