সৌরভকে বাদ দিয়ে ট্রোলড শাস্ত্রী। -ফাইল চিত্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল বিদ্রুপের শিকার জাতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী। আইপিএল ফাইনালের পর উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছিলেন তিনি। অদ্ভুত ভাবে তাতে ছিল না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। আর তা নিয়ে নেটাগরিকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন কোহালিদের হেডকোচ।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সফল ভাবে আইপিএল আয়োজনের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সচিব জয় শাহ, আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ পটেল, বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন সিইও হেমাঙ্গ আমিন ও মেডিকেল স্টাফদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন শাস্ত্রী। কিন্তু, তাঁর টুইটে জায়গা হয়নি বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ মনে করছেন, সৌরভের প্রতি পুরনো রাগ থেকেই এই উপেক্ষা। শাস্ত্রীর টুইটে সৌরভের নাম অনুপস্থিত দেখে এক জন টুইট করেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল যে নিজের বস সৌরভের নামই ভুলে গিয়েছেন শাস্ত্রী। আর আশা করি এটা ইচ্ছাকৃত ভাবেই করা হয়েছে’।
আরও পড়ুন: ‘নিঃসন্দেহে জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়া উচিত রোহিতের’
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত খেলেও শেষরক্ষা হল না, ট্র্যাজিক নায়ক শ্রেয়াসের গলায় পন্টিংয়ের প্রশংসা
অন্য এক জন লিখেছেন, ‘পুরো বিশ্ব জানে যে এই রকম পরিস্থিতিতে দেশের বাইরে আইপিএল করার সাহসী পদক্ষেপ সৌরভই নিয়েছেন। আর তাই আইপিএলের সাফল্য অনেকটা সৌরভের কারণেই সম্ভবপর হয়েছে। দেখা যাচ্ছে আপনি সৌরভকে ট্যাগ করতে ভুলে গিয়েছেন। দয়া করে সৌরভের নাম যুক্ত করুন। যিনি ভারতীয় ক্রিকেটের সাফল্যের নেপথ্যে সবসময় রয়েছেন’।
সৌরভ-শাস্ত্রী সম্পর্ক অবশ্য কখনই মধুর ছিল না। ২০১৬ সালে সৌরভ, সচিন তেন্ডুলকর ও ভিভিএস লক্ষ্মণের ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি অনিল কুম্বলেকে জাতীয় দলের প্রধান কোচ বেছে নেওয়ার পর কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন দু’জনে। তাঁকে জাতীয় দলের কোচ না করার জন্য শাস্ত্রী দায়ী করেন সৌরভকে। সৌরভ তখন পাল্টা মন্তব্য করেন। বলেন, কোনও এক জন সদস্যের জন্য কোচ হতে না পারার ধারণা করা মূর্খের স্বর্গে বাস করার মতোই।