বুমরাকে ফাইনালে এই মেজাজেই দেখতে চাইছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবির। ছবি: আইপিএল।
মঙ্গলবারের আইপিএল ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তুরুপের তাস যশপ্রীত বুমরা। জানিয়েই দিল রোহিত শর্মার দল।
এ বারের আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ২৭ উইকেট নিয়েছেন বুমরা। মুম্বইয়ের ফাইনালে ওঠার নেপথ্যে বড় কারণ তিনি। ফাইনালের আগে দলের প্রধান কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে টুইটারে এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, “গত ২-৩ বছরে বোলার হিসেবে অনেক পরিণত হয়েছে বুমরা। ওই বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, দায়িত্ব নিচ্ছে। বড় ক্রিকেটাররা জ্বলে ওঠে বড় মঞ্চে। আর বুমরার ক্ষেত্রেও এর কোনও ব্যতিক্রম নেই।”
মুম্বইয়ের বোলিং কোচ শেন বন্ড বলেছেন, “বিশ্বের সেরা টি টোয়েন্টি বোলারকে সামনে থেকে দেখতে পাওয়া সৌভাগ্যের।” ২০১৭ ও ২০১৯ সালের আইপিএলের ফাইনালের উদাহরণ টেনেছেন তিনি। বলেছেন, “ফাইনালে কম রান উঠলেও বুমরা দলে থাকা মানেই বিশ্বাস থাকে জেতার।” সেই দুই ফাইনালেই টানটান উত্তেজনার মধ্যে ১ রানে জিতেছিল মুম্বই। ২০১৭ সালে ১২৯ তুলে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টকে আটকে রেখেছিল ১২৮ রানে। আর ২০১৯ সালে ১৪৯ তুলে চেন্নাই সুপার কিংসকে আটকে রেখেছিল ১৪৮ রানে। এই দুই ফাইনালে বুমরার বোলিং গড় ছিল যথাক্রমে ২-১৪ ও ২-২৬।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া সফরে দলে রোহিত, প্রথম টেস্টের পরই ফিরছেন বিরাট
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন মোহনবাগান ও জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ ঘোষ
বন্ডের কথায়, “বুমরা সব সময় উন্নতির রাস্তায় থাকে। আমার মতে, এটাই অনুপ্রেরণার। আর আমাদের দলে বেশ কয়েকজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার রয়েছে। ও ম্যাচ-জেতানো পারফরম্যান্স মেলে ধরে। আর ওকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামা বিশাল বড় সুবিধা।”
স্বয়ং যশপ্রীত বুমরা আবার উপভোগ করেন টেনশনের মুহূর্ত। তিনি বলেছেন, “আইপিএল ফাইনালের মতো ম্যাচ হল হাই-প্রেশার গেম। প্রত্যেকেই এই ম্যাচ দেখছে। সবার নজর থাকে। ফলে সব সময়ই সজাগ থাকতে হয়। কিন্তু আমরা এই ধরনের ম্যাচে স্নায়ুর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছি। তাই বোর্ডে কম রান উঠলেও আমরা তা নিয়ে জিততে পেরেছি।”