আক্রমণাত্মক পাদিকাল। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানরাইজার্স অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। এর আগে প্রতিযোগিতার প্রথম দুই ম্যাচেও টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চেন্নাই ও পঞ্জাব। সেই পথেই হাঁটলেন ওয়ার্নার। বিরাট কোহালির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ উইকেট হারিয়ে তুলল ১৬৩ রান।
প্রথম উইকেটেই বড় রানের ভিত গড়েছিলেন দুই ওপেনার দেবদূত পাদিকাল ও অ্য়ারন ফিঞ্চ। ১০ ওভারে দু’জনে যোগ করলেন ৮৬ রান। আরসিবি-র প্রথম উইকেট পড়ল ৯০ রানে। বিজয় শঙ্করের বলে ৪২ বলে ৫৬ করে ফিরলেন পাদিকাল। বাঁ-হাতির এটাই ছিল কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল ম্যাচ। হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে তিনি নিলেন ৩৬ বল। তাঁর ইনিংসে ছিল আটটি চার। সঙ্গে সঙ্গেই ফিরলেন ফিঞ্চ (২৭ বলে ২৯)। দুই ওপেনারকে আউটের পর লড়াইয়ে ফিরেছিল সানরাইজার্স।
এর পর তৃতীয় উইকেটে বিরাট কোহালি ও এবি ডিভিলিয়ার্স যোগ করলেন ৩৩ রানে। কিন্তু কোহালিও বেশিক্ষণ থাকেননি। নটরাজনের বলে বড় শট নিতে গিয়ে ১৩ বলে ১৪ করে ফিরলেন তিনি। ১২৩ রানে পড়ল তৃতীয় উইকেট। সেখান থেকে টানলেন ডিভিলিয়ার্স। তাঁর পঞ্চাশ এল ২৯ বলে। ৩০ বলে ৫১ করে রান আউট হলেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুটো ছয়।
প্রতিবারই কাগজ-কলমে যত শক্তিশালীই দেখাক না কেন, বিরাট কোহালির দল এখনও আইপিএল জেতেনি। ফলে, এ বার তাঁর উপর রয়েছে বাড়তি চাপ। অন্যদিকে, ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ২০১৬ সালে উঠেছিল আইপিএল। দু’বছর আগে ফাইনালেও উঠেছিল তারা।
আরও পড়ুন: আম্পায়ারের ‘ওয়ান শর্ট’ রানের সিদ্ধান্তে শুরু বিতর্ক
আরও পড়ুন: আজ অবধি আইপিএলে এই বোলারের রহস্যভেদ করতে পারেননি বিরাট
এই ম্যাচ অনেকের কাছেই বিরাট বনাম ওয়ার্নারের লড়াই। তবে দুই দলেই রয়েছেন তারকারা। বিরাটের দলে রয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ, এবি ডিভিলিয়ার্স, ডেল স্টেনের মতো বিদেশিরা। আবার ওয়ার্নারের দলের বাকি বিদেশিরা হলেন জনি বেয়ারস্টো, মিচেল মার্শ, রশিদ খান। কেন উইলিয়ামসনকে বাইরে রেখেই নেমেছে কমলা জার্সিধারীরা।