দিল্লির ইনিংস ভাঙলেন বরুণ। ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া।
দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৫৯ হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ব্যাট হাতে সুনীল নারাইন ও নীতিশ রানার দাপট। বল করতে নেমে বরুণ চক্রবর্তীর স্পিনে শেষ দিল্লি। ৪ ওভারে ২০ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট নেন বরুণ। প্যাট কামিন্স নেন তিনটি উইকেট। দিল্লির ইনিংসে শুরুতে ধাক্কা দিয়েছিলেন কামিন্সই।
তার আগে নারাইন ও রানার ব্যাটিং দাপটে কলকাতা ২০ ওভারে করেছিল ৬ উইকেটে ১৯৪ রান। রান তাড়া করতে নেমে দিল্লি থামল ৯ উইকেটে ১৩৫ রানে।
শনিবার টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস। উইকেটে ঘাস রয়েছে। তা দেখেই কলকাতাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। কলকাতার প্রথম একাদশে ফেরেন সুনীল নারাইন এবং কমলেশ নাগারকোটি। দলে ফিরেই নারাইন ধরা দেন নিজের মেজাজে। ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন এনেছিল কলকাতা। শুভমন গিলের সঙ্গে এ দিন ওপেন করতে নামেন নীতিশ রানা।
নারাইনকে পাঠানো হয় পাঁচ নম্বরে। এত পরে নারাইনকে পাঠানোর সিদ্ধান্তে অনেকেই সমালোচনা শুরু করেন। কিন্তু নারাইন নিজেই জবাব দেন সমালোচকদের। শুভমন গিল (৯), রাহুল ত্রিপাঠী (১৩) ও দীনেশ কার্তিকের (৩) উইকেট হারানোর পরে কলকাতা শিবির চাপে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু নারাইন ও রানা পাল্টা মারের খেলা শুরু করেন। দুই বাঁ হাতির ব্যাটিংয়ে চাপ কাটিয়ে ওঠে কলকাতা। ৩২ বলে ৬৪ রান করে রাবাদার বলে আউট হন নারাইন। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা। নারাইন ও রানা ১১৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। আর এই দুই বাঁ হাতির জন্যই ম্যাচে ফেরে কলকাতা। নারাইন ফেরার পরেও দমেননি রানা। দিল্লি বোলারদের শাসন করেন তিনি। ৫৩ বলে ৮১ রান করেন রানা।১৩টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। নারাইন ও রানার ব্যাটিং দাপটেই ২০ ওভারে কলকাতা করে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্যাট কামিন্স প্রথম বলেই আউট করেন অজিঙ্ক রাহানেকে(০)। পর পর দু' ম্যাচে সেঞ্চুরি করে দারুণ ছন্দে ছিলেন শিখর ধওয়ন। সেই ধওয়নকেও বোল্ড করলেন কামিন্স। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পরে দিল্লির ইনিংস গোছানোর কাজ শুরু করেন শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋষভ পন্থ। দুই ব্যাটসম্যান ৬৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। বরুণ চক্রবর্তী তাঁর প্রথম ওভারেই এই জুটি ভাঙেন। পন্থকে ২৭ রানে ফেরান বরুণ। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ক্রিজে জমে যাওয়া শ্রেয়াস আইয়ার (৪৭) ও হেটমায়ারকে (১০) পর পর দু' বলে আউট করেন তিনি। শ্রেয়াস ও হেটমায়ার কেন যে মারতে গিয়ে নিজেদের উইকেট ছুড়ে দিলেন, তা তাঁরাই ভাল বলতে পারবেন। স্টোইনিস ও অক্ষর পটেলও বরুণ চক্রবর্তীর শিকার। এর পরে দিল্লির পক্ষে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি। আবু ধাবিতে কলকাতার কাছে আত্মসমর্পণই করল দিল্লি। এই ম্যাচ জেতার ফলে প্লে অফের রাস্তায় এক ধাপ এগোল কেকেআর।
আরও পড়ুন: ‘পাওয়ার প্লে-তে নিজেদের এত খারাপ ব্যাটিং দেখে আমরাই অবাক’