ব্যাটিং ও বোলিংয়ে হায়দরাবাদকে টেক্কা দিল দিল্লি। ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া।
দু' দলের কাছেই মরণবাঁচন ম্যাচ ছিল। যে জিতবে, সেই দলই পৌঁছে যাবে আইপিএলের ফাইনালে। রবিবার আবু ধাবিতে শেষ হাসি তোলা থাকল দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৭ রানে হারিয়ে প্রথমবার আইপিএলের ফাইনালে গেল শ্রেয়স আয়ারের দল। ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে দিল্লি।
শিখর ধওয়নের দুরন্ত ৭৮, মার্কাস স্টোইনিসের ঝোড়ো ৩৮ এবং হেটমায়ারের মারমুখী ৪২ রানে দিল্লি ক্যাপিটালস ২০ ওভারে তোলে ৩ উইকেটে ১৮৯ রান। একাধিক ক্যাচ ফেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ক্রিকেটাররা। দিল্লির রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। কাগিসো রাবাদার বলে বোল্ড হন ওয়ার্নার (২)। স্টোইনিস ছিটকে দেন প্রিয়ম গর্গের (১৭) উইকেট। সেই ওভারেই মণীশ পাণ্ডে (২১) নিজের উইকেট ছুড়ে দেন। কেন উইলিয়ামসন হায়দরাবাদকে টানছিলেন। জেসন হোল্ডারের সঙ্গে ৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন উইলিয়ামসন। অক্ষর পটেলের বলে জেসন হোল্ডার (১১) ধরা পড়েন প্রবীণ দুবের হাতে। উইকেট হারালেও হাল ছাড়েননি নিউজিল্যান্ডের তারকা। আব্দুল সামাদকে সঙ্গে করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। যত ক্ষণ উইলিয়ামসন ক্রিজে ছিলেন, তত ক্ষণ হায়দরাবাদের জেতার আশা ছিল। ৪৫ বলে ৬৭ রান করে তিনি আউট হন স্টোইনিসের বলে। তার আগে সামাদের সঙ্গে ৫৭ রান জোড়েন তিনি। রান তাড়া করায় নজর কাড়েন সামাদ। ১৬ বলে ৩৩ রান করে রাবাদার ওভারে আউট হন তিনি। ১৯ তম ওভারে রাবাদা তিনটি উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদের জয়ের স্বপ্ন ভেঙে দেন। ২০ ওভারে হায়দরাবাদ থামল ৮ উইকেটে ১৭২ রানে। ডেথ ওভারে রাবাদা দাপট দেখালেও ম্যাচের হায়দরাবাদ ৪টি এবং স্টোইনিস ৩টি উইকেট নেন। বল হাতে রাবাদা দাপট দেখালেও অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা স্টোইনিস।
রবিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। এ দিন ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনে দিল্লি। শিখর ধওয়নের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন মার্কাস স্টোইনিস। বড় রান তোলাই লক্ষ্য ছিল দিল্লির। সেই কারণেই স্টোইনিসকে পাঠানো হয় ওপেন করতে। ব্যাট হাতে স্টোইনিস ঝড় তোলেন। হায়দরাবাদ বোলারদের আক্রমণের রাস্তা নেন তিনি। সন্দীপ শর্মার বলে স্টোইনিসের ক্যাচ জেসন হোল্ডারও ফেললেও তাঁকে দমানো যায়নি। স্টোইনিসকে (৩৮) থামান রশিদ খান। ওয়ার্নার যখনই তাঁর হাতে বল তুলে দিয়েছেন, তখনই দলকে সাফল্য এনে দিয়েছেন রশিদ খান। ধওয়ন ও স্টোইনিস ৮৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
আরও পড়ুন: দুই পায়েই চোট, ঋদ্ধিমানের এ বারের আইপিএল অভিযান সম্ভবত শেষ
স্টৌইনিস ফেরার পরে দলকে টেনে নিয়ে যায় ধওয়ন। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিল্লি তাঁর কাছ থেকে রান চাইছিল। ধওয়ন রান করলেন। শাহবাজ নাদিমকে ছক্কা মেরে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন তিনি। দুটো সেঞ্চুরি করে আইপিএলে রেকর্ড গড়ার পরে ধওয়নের ব্যাট শান্ত হয়ে গিয়েছিল। আজ জ্বলে ওঠেন তিনি। সন্দীপ শর্মার বলে ৭৮ রানে এলবিডব্লিউ হন ধওয়ন। তবে রিভিউ নিলে পারতেন তিনি। রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে বল উইকেটে লাগত না। দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার (২১) আউট হন হোল্ডারের বলে। হেটমায়ারও চটজলদি ৪২ রান করেন। তার ফলে দিল্লি ক্যাপিটালস লড়াই করার মতো রান তোলে স্কোর বোর্ডে। সেই রান আর তুলতে পারেনি হায়দরাবাদ।