ব্যাট হাতে স্টোইনিসের ঝড়। ছবি- সোশ্যাল মিডিয়া।
ভাগ্যিস দিল্লি ক্যাপিটালস দলে ছিলেন মার্কাস স্টোইনিস! ব্যাট করতে নেমে দলের প্রয়োজনে ২১ বলে ৫৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। আবার শেষ ওভারে তাঁর হাতে যখন বল তুলে দিচ্ছেন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার, তখন কিংস ইলেভেন পঞ্জাব জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে দিয়েছে।
স্টোইনিসের প্রথম বলটাই ছক্কা মারলেন ময়ঙ্ক। পরের বলে নেন ২ রান। তৃতীয় বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ম্যাচ টাই করেন ময়ঙ্ক। তখনও ম্যাচে ছিল অনেক নাটক। চতুর্থ বলে রান নিতে পারেননি ময়ঙ্ক। পঞ্চম বলে সুইপার কভারে দাঁড়ানো হেটমায়ার তালুবন্দি করেন ময়ঙ্ককে। ৬০ বলে ৮৯ রানের ইনিংসটা কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়। ওভারের শেষ বলে স্টোইনিস ফেরান জর্ডনকে। ম্যাচ যায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারে রাবাদার দুরন্ত স্পেলে জয় পেল দিল্লি। আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচ যে এরকম রুদ্ধশ্বাস হবে, তা কেউ ভাবেননি। দিল্লির সমর্থকরাও ভাবেননি ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত তাদের প্রিয দলই জিতে নেবে। আর এই জয় সম্ভব হযেছে কেবল স্টোইনিসের জন্য। ব্যাট করার সময়ে শেষ ওভারে ৩০ রান নেন তিনি। সাতটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো স্টোইনিসের ৫৩ রান দিল্লি ক্যাপিটালসকে পৌঁছে দেয় রীতিমতো লড়াই করার মতো জায়গায়। আবার জবাব দিতে নেমে কিংস ইলেভেন যখন জযের গন্ধ পেতে শুরু করেছে, শেষ ওভারে দুই উইকেট নিয়ে স্টোইনিস ম্যাচ নিয়ে যান সুপার ওভারে। অক্সিজেন পায় দিল্লি ক্যাপিটালস।
আরও পড়ুন: কাজে এল না ময়ঙ্কের ৮৯, সুপার ওভারে জিতল দিল্লি
সুপার ওভারে রাবাদার আগুনে বোলিংযে দু' রানের বেশি করতে পারেনি কিংস ইলেভেন। খুব সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি। ম্যাচের সেরা স্টোইনিস বলেন, "বড় অদ্ভুত খেলা এই ক্রিকেট। ভাগ্য সহায় না থাকলে নায়ক থেকে খলনায়ক বনে যেতে হয়।" ভুল কিছু বলেননি তিনি। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, ম্যাচের রং বদলে দিয়েছেন স্টোইনিস। কিন্তু শেষ ওভারে তিনিই প্রায় হারিযে দিচ্ছিলেন দিল্লিকে।কিন্তু এ দিন ভাগ্য তাঁর সঙ্গে ছিল। তাই শেষ হাসি তোলা ছিল স্টোইনিসের জন্যই। শেষে নায়ক তিনিই।