নজর কাড়লেন মাভি-নাগারকোটি।
এ বারের আইপিএল যেন ভারতীয়দের। আগের দিন রাহুল তেওটিয়া নায়ক। তার আগে সঞ্জু স্যামসন। মুম্বই-ব্যাঙ্গালোর রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আবার নায়ক ঈশান কিষাণ। বুধবার দিনটা ছিল নাইটদের দুই তরুণ পেসার উত্তরপ্রদেশের শিবম মাভি এবং রাজস্থানের কমলেশ নাগরকোটির। আর দুই তরুণ ভারতীয় পেসারকে যোগ্য সঙ্গত করলেন অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ পেসার প্যাট কামিন্স।
কলকাতা প্রথমে ব্যাট করে তোলে ১৭৪ রান। টি২০ ক্রিকেটে এই রান খুব একটা বেশি নয়। আর রাজস্থানের মতো দল তো দুশোর বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছে। তাদের কাছে এই রান তো খুব একটা বেশি নয়। সেই রানকেই বিশাল পাহাড় করে তুললেন কলকাতার পেসাররা। শুরুটা করেন কামিন্স। স্বদেশী স্টিভ স্মিথকে ইনিংসের শুরুতেই ফিরিয়ে দেন কামিন্স। রাজস্থান শিবির এই শুরুর ধাক্কাটা ঠিকঠাক সামলে উঠতে পারেনি। কামিন্সকে দেখেই কি না জানা নেই দুই ভারতীয় তরুণ পেসারও গতির ঝড় তুললেন বল হাতে।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে রীতিমতো নজর কেড়েছিলেন মাভি-নাগারকোটি। এ দিন দুই নাইটের সামনে সুবিধা করতে পারলেন না সঞ্জু-উথাপ্পারা। বাটলার-সঞ্জুকে ফেরান মাভি। চার ওভারে ২০ রান দিয়ে মাভি নেন দুই উইকেট। নাগারকোটি প্রথম ওভারেই নেন দুটি উইকেট। ২ ওভারে তিনি দিয়েছেন ১৩ রান। প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতার পর থেকেই পাল্টে গিয়েছেন প্যাট কামিন্স। টেস্টে তিনি কেন এক নম্বর বোলার, তা প্রমাণ করছেন।
আরও পড়ুন: আগুন জ্বালালেন নাগারকোটি-মাভিরা, রাজস্থানকে ৩৭ রানে হারাল কলকাতা
দুবাইয়ে কলকাতা বনাম রাজস্থান ম্যাচে হল গতির লড়াই। দিনের শুরুতে ইংল্যান্ডের পেসার জোফ্রা আর্চার গতি দিয়ে কলকাতাকে বেসামাল করতে চেয়েছিলেন। চার ওভার বল করে দুই উইকেট নিলেন মাত্র ১৮ রান দিয়ে। ভয়ঙ্কর হতে থাকা শুভমন গিল (৪৭) এবং নাইট অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন ঠিক সময়ে। কিন্তু দিনটা তাঁর ছিল না।