প্রস্তুতি: অনুশীলনে রাসেল। তাঁর চোট নিয়েও চিন্তা থাকছে। কেকেআর
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, এমন একটা দলের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ, যারা তাদের আতঙ্ক। আইপিএলে ২৬ বার দেখা হয়েছে কেকেআর এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। মুম্বই জিতেছে ২০ বার। নাইটরা ৬ বার।
এ বারের আইপিএলেই তাঁদের প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মার ৮০ রানের ঝড় নিশ্চয়ই ভোলেননি নাইট বোলাররা। বিশেষ করে প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলীয় পেসার টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে তিন ওভারে ৪৯ দেওয়ার পরে প্রশ্ন উঠে যায় তাঁকে নিয়ে। কামিন্স দুর্দান্ত ভাবে ফিরে এসে সেই সমালোচনার যোগ্য জবাব দিয়েছেন। রোহিতের মুম্বইকে এ বার তাঁর দেখানোর সুযোগ, সাড়ে পনেরো কোটি দাম তাঁর জন্য নিশ্চয়ই বাড়াবাড়ি নয়।
ম্যাচের আগের দিন কেকেআরের ওয়েবসাইটে কামিন্স বলেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলাম নিভৃতবাস পর্ব কাটিয়ে উঠেই। সাত ম্যাচ হয়ে যাওয়ায় আর কোনও জড়তা নেই। শুরু থেকে আক্রমণ করাই আমাদের লক্ষ্য।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আমরা এখনও নিজেদের সেরা খেলা খেলিনি। তবে চেন্নাই ও পঞ্জাবের বিরুদ্ধে যে রকম পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জিতেছি, সেখান থেকে জেতার আশা কেউ করে না। এ ধরনের জয় একটা দলের চারিত্রিক কাঠিন্য বুঝিয়ে দেয়। সে দিক থেকে কেকেআর অনেক এগিয়ে।’’
অবিশ্বাস্য কিছু জয় ছিনিয়ে নিলেও নাইট ভক্তদের চিন্তায় রাখবে একটি তথ্য। শেষ ম্যাচে ৮২ রানে হারের ধাক্কা নিয়ে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নামছেন কামিন্সরা। তেমনই রোহিতের মুম্বই নামছে টানা চারটি ম্যাচ জিতে। প্লে-অফে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত গত বারের চ্যাম্পিয়নদের।
নাইটদের সেরা দুই অস্ত্র সুনীল নারাইন এবং আন্দ্রে রাসেলকে নিয়েই মাথার উপরে কালো মেঘ। নারাইনের বিরুদ্ধে অবৈধ অ্যাকশনের জন্য রিপোর্ট দিয়েছেন আম্পায়ারেরা। আর এক বার যদি তাঁর অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ে, এ বারের আইপিএল থেকেই বাতিল হয়ে যাবেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান স্পিনার। রাসেল চোটে বিব্রত থাকার পাশাপাশি পাশাপাশি ব্যাট হাতে সেই পুরনো রুদ্রমূর্তিও দেখা যাচ্ছে না।
নারাইনকে শুক্রবারের ম্যাচে নামানো হবে কি না, পরিষ্কার নয়। রাসেল চোট নিয়েই হয়তো খেলতে বাধ্য হবেন। তাঁর অ্যাকশন মেরামতির কাজ চলছে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, নারাইন না থাকা মানে প্রতিপক্ষের উপর থেকে চাপটাই সরে যাওয়া।
আগের দিন নারাইনের জায়গায় টম ব্যান্টনকে নামিয়ে তাঁকে দিয়ে ওপেন করিয়েছে কেকেআর। তা নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। ওপেনিংয়ে সফল রাহুল ত্রিপাঠীকে কেন নীচে নামিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফের ব্যান্টনকেই খেলানো হয় না কি ফাস্ট বোলার লকি ফার্গুসনকে আনা হয়, তা দেখার। কিন্তু ব্যান্টন খেললেও ত্রিপাঠীকে শুরুতে পাঠানোর পক্ষপাতী অনেকে। বুমরাদের গতির আগুনে প্রথম ম্যাচে পুড়েছিল কেকেআর। ফের অগ্নিপরীক্ষা তাই নাইট ব্যাটিংয়েরও!