ঐক্যবদ্ধ: রাজস্থানের বিরুদ্ধে আজ ফের পরীক্ষা নাইটদের। যে কোনও মূল্যে ম্যাচ জিততে মরিয়া মর্গ্যানরা। ফাইল চিত্র
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচের আগে কিছুটা হলেও খুশির বার্তা রয়েছে কেকেআর ভক্তদের জন্য। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের মহড়া হিসেবে একটি প্র্যাক্টিস ম্যাচ আয়োজন করে নাইট শিবির। ম্যাচ পরিস্থিতি তৈরি করে অনুশীলন চলে দীনেশ কার্তিকদের। সেই প্র্যাক্টিস ম্যাচে পুরনো মেজাজে দেখা গিয়েছে আন্দ্রে রাসেলকে।
ক্যারিববিয়ান পাওয়ারহিটার যখন ব্যাট করতে যান, বল হাতে এগিয়ে আসেন কুলদীপ যাদব। ভারতীয় চায়নাম্যান বোলারের প্রথম বল সোজা ছয় মেরে নিজের উপসিথিতি জানিয়ে দেন রাসেল। তাঁর বিধ্বংসী রূপ এ বারের আইপিএলে দেখতে পাওয়া যায়নি। ৯ ম্যাচে মাত্র ৯২ রান করেছেন। অবশেষে শেষ ম্যাচে কি তিনি নাইটদের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়াবেন?
রানে কারা এগিয়ে
১. কে এল রাহুল (পঞ্জাব), ১৩ ম্যাচে ৬৪১ রান।
২. শিখর ধওয়ন (দিল্লি), ১৩ ম্যাচে ৪৭১ রান।
৩. ডেভিড ওয়ার্নার (হায়দরাবাদ), ১৩ ম্যাচে ৪৪৪ রান।
৪. বিরাট কোহালি (ব্যাঙ্গালোর), ১৩ ম্যাচে ৪৩১ রান।
৫. দেবদত্ত পাড়িকল (ব্যাঙ্গালো), ১৩ ম্যাচে ৪২২ রান।
উইকেটে কারা এগিয়ে
১. যশপ্রীত বুমরা (মুম্বই), ১৩ ম্যাচে ২৩ উইকেট।
২. কাগিসো রাবাডা (দিল্লি), ১৩ ম্যাচে ২৩ উইকেট।
৩. যুজ়বেন্দ্র চহাল (ব্যাঙ্গালোর), ১৩ ম্যাচে ২০ উইকেট।
৪. ট্রেন্ট বোল্ট (মুম্বই), ১৩ ম্যাচে ২০ উইকেট।
৫. মহম্মদ শামি (পঞ্জাব), ১৩ ম্যাচে ২০ উইকেট।
রাসেলকে সমস্যায় ফেলেছে তাঁর ফিটনেস। সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হাঁটুতে চোট পাওয়ার পর থেকে শেষ তিন ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন। রবিবার রাজস্থানের বিরুদ্ধে তাঁকে খেলানোর দাবি জোরালো হয়েছে। কিন্তু রাসেল ফিরবেন কার জায়গায়? সম্ভবত তাঁকে ফেরানো হতে পারে লকি ফার্গুসনের পরিবর্তে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে চার ওভারে ৫৪ রান দিয়েছিলেন লকি। শেষ ম্যাচে হঠাৎ চার নম্বরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল রিঙ্কু সিংহকে। রবিবার তাঁকে হয়তো দেখা যাবে রিজার্ভে। প্রথম একাদশে ফেরানো হতে পারে কুলদীপ যাদবকে।
আরও পড়ুন:দারুণ বন্ধু মারাদোনা, জন্মদিনে পেলে-বার্তা
অঙ্কের বিচারে প্লে-অফের রাস্তা বেশ কঠিন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে। তাই আজ রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিতে চায় তারা। দীনেশ কার্তিক, অইন মর্গ্যানদের আর হারানোর কিছু নেই। বাড়তি সুবিধা খানিকটা হলেও থাকছে। আজ, রবিবার দুপুরে প্রথম ম্যাচ খেলবে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব এবং চেন্নাই সুপার কিংস। সেই ম্যাচের ফল দেখে প্লে-অফ দৌড়ের সমীকরণ বুঝে নিতে পারবে নাইটরা। যদিও কিংস ইলেভেন শুধু নয়, প্লে-অফের দৌড়ে ঢুকে পড়ছে রাজস্থান রয়্যালস এবং সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদও। সুনীল নারাইনদের শুধু নিজেদের জিতলেই হবে না, অন্যদের প্রত্যেকটা ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন:গেলের দিকেই তাকিয়ে পঞ্জাব
প্লে-অফ অভ্ক এখন খুবই জটিল হয়ে উঠেছে। একমাত্র মুম্বই ইন্ডিয়ান্স প্রথম দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করে ফেলেছে। দিল্লি ক্যাপিটালস শনিবার হেরে গিয়ে আরওই ধাঁধা তৈরি হয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং দিল্লি ক্যাপিটালসকে অন্তত একটি ম্যাচ জিততেই হবে প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করতে হলে। চেন্নাই সুপার কিংস টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে। বাকি ছ’টি দলের যে কেউ যেতে পারে প্লে-অফে। তবে নাইটদের কাঁটা নেট রানরেট। তাঁদের নেট রানরেট এত খারাপ যে, প্লে-অফে যেতে গেলে সব চেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে, নিজেরা শেষ ম্যাচে জেতো আর প্রার্থনা করো যেন অন্য কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না জেতে।
শনিবার সকালে প্র্যাক্টিসের আগে বিশেষ ক্লাস হয় নাইট শিবিরে। মেন্টর ডেভিড হাসি, কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ও অধিনায়ক অইন মর্গ্যান সব রকমের সম্ভাবনা খুঁটিয়ে দেখেন। দলের সকলকে বলা হয়, ‘‘শেষ ম্যাচে জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করি , বাকিটা আমাদের হাতে নেই।’’ অন্য দিকে রাজস্থান শিবির যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ওপেনার বেন স্টোকস চেনা ছন্দে ফিরে গিয়েছেন। শেষ ম্যাচে ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করে জয়ের নায়ক। স্টোকস মনে করেন, শেষ ম্যাচের আগে ঠিক করা যাবে না শেষ চারে কারা থাকবে। তাঁর কথায়, ‘‘শেষ ম্যাচে ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই এগোবো। আরও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে। ম্যাচের প্রত্যেক মুহূর্তে যেন দেখে মনে হয়, আমরা জিততে এসেছি। কেকেআর ভাল দল। কিন্তু দুবাইয়ে ওদের বিরুদ্ধে জিততে চাই।’’ স্টোকস আরও বলেন, ‘‘শেষ চারের লড়াই চলবে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। তার আগে কোনও ভাবেই ঠিক হবে না কারা প্লে-অফ খেলবে।’’