ছবি পিটিআই।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হেরে প্লে-অফে ওঠার রাস্তা ভীষণই কঠিন করে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। পড়ে গেল অনেক অঙ্কের জটিলতার মধ্যে। সব চেয়ে বড় কথা, নিজেদের ভাগ্য আর নিজেদের হাতে থাকছে না নাইটদের। অইন মর্গ্যানদের নির্ভর করে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর উপরে।
শাহরুখ খানের দল এ বারের আইপিএলের প্লে-অফে উঠতে পারবে কি না, তা এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের উপরে। কে এল রাহুলের দল যদি শেষ দুটো ম্যাচ জিতে যায়, তা হলে এ বারের মতো আইপিএল থেকে বিদায় নিতে হবে কেকেআরকে।
চেন্নাইয়ের কাছে হারের পরে কেকেআরের পয়েন্ট দাঁড়াল ১৩ ম্যাচে ১২। পঞ্জাবের ১২ ম্যাচে ১২। শেষ দুটো ম্যাচে রাহুলরা জিতলেই ১৬ পয়েন্ট পেয়ে প্লে-অফের ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন তাঁরা। শেষ দুই ম্যাচে পঞ্জাবের প্রতিপক্ষ হল রাজস্থান রয়্যালস এবং সিএসকে। এ দিন কেকেআর হারায় প্লে-অফে চলে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
কেকেআর শেষ চারে যেতে পারে যদি কোনও ভাবে ১৪ পয়েন্টে ছাড়পত্র পাওয়া যায়। পঞ্জাব যদি একটা ম্যাচ হারে আর কেকেআর শেষ ম্যাচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে জেতে, তা হলে দু’দলেরই পয়েন্ট হবে ১৪। সে ক্ষেত্রে নেট রানরেটের লড়াই সামনে চলে আসবে। যেখানে কেকেআর (-০.৪৬৭) পিছিয়ে রয়েছে পঞ্জাবের (-০.০৪৯) থেকে।
১৪ পয়েন্টের অঙ্কে কিন্তু আরও একটা দল চলে আসতে পারে। সেটি হল, সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ। ডেভিড ওয়ার্নারের দলের এখন ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। তাদের শেষ দুই ম্যাচ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। এই দুই কঠিন ম্যাচ জিততে পারলে ওয়ার্নাররাও ১৪ পয়েন্টে শেষ করবেন। এবং, যদি দেখা যায় ১৪ পয়েন্টেই প্লে-অফ খেলার ছাড়পত্র পাওয়া যাচ্ছে, তা হলে কিন্তু ভাল জায়গায় থাকবেন ওয়ার্নাররাই। কারণ হায়দরাবাদের নেট রানরেট (+০.৩৯৬) পঞ্জাব বা কলকাতার চেয়ে ভাল। শেষ দুটো ম্যাচ জিতলে যা আরও ভাল হয়ে যাবে। এমনকি, দিল্লি ক্যাপিটালস বা আরসিবিও শেষ করতে পারে ১৪ পয়েন্টে। তাদের নেট রানরেটও ভাল। তবে সব অঙ্কই জলে চলে যাবে যদি শেষ ম্যাচে রাজস্থানের কাছে হেরে যায় কলকাতা। তা হলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএল অভিযান শেষ হয়ে যাবে সুনীল নারাইনদের।