পরীক্ষা: ফাঁকা মাঠে দলকে উদ্বুদ্ধ করাই চ্যালেঞ্জ মুরলীর। ফাইল চিত্র
টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এই মুহূর্তে দুবাইয়ে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলিং কোচের দায়িত্বে। সেখান থেকে মঙ্গলবার দুপুরে মুথাইয়া মুরলীধরন কথা বললেন আনন্দবাজারের সঙ্গে।
ফাঁকা মাঠে আইপিএল: কোনও দিন ভাবা যায়নি এ রকম হতে পারে। দর্শকরা এক জন খেলোয়াড়কে ভাল খেলার প্রেরণা দেয়। আমরা গ্যালারি ভর্তি দর্শক দেখলে তেতে উঠতাম। এখানে ফাঁকা মাঠে ছেলেদের উদ্বুদ্ধ করা একটু কঠিন হতে পারে। সেই কাজটা করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
এ বারের দল: আগের বারের চেয়ে এ বার দলে ভারসাম্য ভাল। রশিদ খান, মহম্মদ নবির মতো বিশ্বমানের অভিজ্ঞ স্পিনার আছে। পেস আক্রমণ বেশ ভাল। গত বার আমাদের মিডল অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। এ বার তাই বিরাট সিংহ, অভিষেক শর্মার মতো তরুণদের রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মরুভূমিতে ঘূর্ণির মরূদ্যানের আশা দেখছেন কুলদীপ
ঋদ্ধির সুযোগ: ঋদ্ধিমান (সাহা) এবং শ্রীবৎস (গোস্বামী) দু’জনেই উইকেটকিপার। তবে ওরা আগে ওপেনও করেছে। সমস্যা হল, হায়দরাবাদে জনি বেয়ারস্টো আছে। আমাদের এক নম্বর ওপেনার-উইকেটকিপার। বেয়ারস্টো এসে গেলে ঋদ্ধিদের পক্ষে সুযোগ পাওয়া কঠিন। তবে সব মিলিয়ে ১৪টা ম্যাচ। তাই সুযোগ মিলতেই পারে। কোচেদের মাথাব্যথাটা বেশি। কারণ মাত্র ১১ জনকেই তো বেছে নেওয়া যেতে পারে!
টি-টোয়েন্টির সেরা স্পিনার: অনেকেই হয়তো রশিদ খান, সুনীল নারাইনের কথা বলবে। আমি আলাদা করে কারও নাম করতে চাই না। অনেকে আছে। অশ্বিন, চাহাল, কুলদীপ। অনেক দলে এমন স্পিনার আছে, যারা একাই জিতিয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: সৌরভকে কোয়রান্টিনের মেয়াদ কমানোর অনুরোধ অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের
মাঁকড়ীয় আউট বিতর্ক: আমার মনে হয়, বোলারের উচিত, ব্যাটসম্যানকে একবার সতর্ক করে দেওয়া। আবার এটাও বলব, ব্যাটসম্যান কেন ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে অন্যায় সুবিধে নেবে?
নতুন নিয়মের পরামর্শ: যদি আম্পায়ার দেখতে পান, ব্যাটসম্যান আগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, তা হলে পাঁচ রান জরিমানা করে দিন ব্যাটিং দলকে। এই নিয়ম চালু হলে ব্যাটসম্যানও ক্রিজ ছেড়ে বেরোবে না। বোলারকেও আর মাঁকড়ীয় আউট করতে হবে না। বিতর্কও শেষ।
আমিরশাহিতে স্পিনের ভূমিকা: সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আমার খেলার অভিজ্ঞতা আছে। দুবাইয়ে খেলেছি, শারজায় তো গোটা চল্লিশেক ম্যাচ খেলেছি। এমন নয় যে, স্পিনাররা এখানে দারুণ সুবিধে পাবে। অনেক বছর ধরে দেখেছি, শারজার পিচের চরিত্র বদল হয়নি। একেবারে নিষ্প্রাণ উইকেট। দুবাইয়ের পিচ বেশ ভাল। আর আবু ধাবিরটা একটু মন্থর হতে পারে। তিন জায়গায় তিন ধরনের পিচ হবে। সে ভাবেই দলকে তৈরি করছি। তবে টানা ম্যাচ হলে পরের দিকে পিচ মন্থর হয়ে যেতেও পারে।
স্পিনারদের কী পরামর্শ: আইপিএলে এসে কারও বোলিং অ্যাকশন বদল করা যায় না। তার সময়ও নেই। এরা ভাল বলেই আইপিএলে সুযোগ পেয়েছে। আমার কাজ হচ্ছে, ওদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো আর কৌশল ঠিক করে দেওয়া। সেটাই করছি।
সব চেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমি কখনওই বল করতে চাইনি। টেস্ট, ওয়ান ডে ঠিক আছে। বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান যদি বলেন, এবি ডিভিলিয়ার্স, বিরাট কোহালির নাম করতে হবে। ডেভিড ওয়ার্নার, রোহিত শর্মাও আছে। তরুণদের মধ্যে ঋষভ পন্থও বিধ্বংসী।