দিল্লি ক্যাপিটালসের অনুশীলনে ফুরফুরে মেজাজে শ্রেয়াস, পন্টিং ও অশ্বিন। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
বায়ো-বাবলে বা জৈব সুরক্ষা বলয়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই বলয়ের মধ্যে নেটে অনুশীলন করার ল্যাবরেটরিতে কাজ করার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।
১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে শুরু হতে চলেছে আইপিএল। এ বারই প্রথম দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলতে চলা অফস্পিনার বলেছেন, “এই জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে নেটে অনুশীলন করা এখন ল্যাবরেটরিতে থাকার মতো। বোলার হিসেবে আমাকে নেটে গিয়ে বিভিন্ন রকমের ডেলিভারি নিয়ে পরীক্ষা করতে হয়। ব্যাটসম্যানকেও বিভিন্ন শট মারার চেষ্টা করতে হয়। এই ধরনের পরীক্ষা থেকে ব্যাটসম্যান ও বোলার, দুই পক্ষকেই যতটা সম্ভব উন্নতির চেষ্টা করতে হয়।”
দিল্লি ক্যাপিটালসের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট হওয়া এই ভিডিয়ো সাক্ষাৎকারে অশ্বিন বলেছেন, “কোয়রান্টিন পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। করোনা পরীক্ষাও হয়েছে। সবাই ঠিকঠাক রয়েছি। সবকিছুই ভাল দেখাচ্ছে। ছয় মাস ঘরবন্দি থাকার পর এখন আশপাশে মানুষ দেখতে পেয়ে স্বস্তি লাগছে। আমরা যেটা করি সেটা করতে পারছি, এটাই দারুণ ব্যাপার।”
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে এ বার করোনা আক্রান্ত বিসিসিআই কর্তা
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত কারণে এ বার আইপিএল থেকে সরলেন মালিঙ্গাও
এর আগে চেন্নাই সুপার কিংস ও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন অশ্বিন। দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরে কেমন লাগছে? অফস্পিনারের কথায়, “দিল্লির হয়ে খেলব বলে রোমাঞ্চিত। শ্রেয়াস আইয়ার দুর্দান্ত নেতা। ওর মাথা খুব পরিষ্কার। এখানে খুব পজিটিভ আবহ। শিবিরের মেজাজও চনমনে। এক সপ্তাহ হোটেলে বন্দি থাকার পর সবাই উৎসাহে টগবগ করছে।”
এখনও পর্যন্ত আইপিএলে ১২৫ ম্যাচে ১৩৬ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। গত দুই মরসুমে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ২০১০ ও ২০১১ সালে আইপিএল জয়ী সিএসকে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন অশ্বিন।