আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতাশ ধোনি। ছবি: পিটিআই
মঙ্গলবার চেন্নাই সুপার কিংস বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে ফের প্রশ্ন উঠল আম্পায়ারিং নিয়ে। রাজস্থান ইনিংসের ১৮তম ওভারে বল করছিলেন চেন্নাইয়ের দীপক চহার। তাঁর পঞ্চম বলটা কারেনের থাই প্যাডে লেগে জমা পড়ে চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দস্তানায়। চহার আউটের আবেদন করায় আম্পায়ার সামসুদ্দিন আঙুল তুলে দেন।
এ দিকে রাজস্থানের রিভিউ আর বাকি ছিল না। রাহুল তেওয়াটিয়া রিভিউ নিয়ে ফেলায় আর তা বাকি ছিল না। হতাশ হয়ে ফেরার আগে কারেন দাবি করেন বল তাঁর ব্যাটে লাগেনি। ফিল্ড আম্পায়াররা তখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যান। এ দিকে ধোনি এগিয়ে এসে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেন। মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা যায় চহারের বল কারেনের ব্যাটে লাগেনি, তা লাগে থাই প্যাডে। আর তাঁর থাই প্যাডে লেগে বল যখন ধোনির দস্তানায় পৌঁছয়, তার আগেই বল মাটি ছোঁয়। ফিল্ড আম্পায়াররা ডেকে নেন টম কারেনকে। এটাই মানতে পারেননি মাহি। অসন্তুষ্ট দেখায় তাঁকে।
রাজস্থানের রিভিউ আর বাকি ছিল না। এ দিকে ফিল্ড আম্পায়াররা কারেনকে আউট দিয়ে দেন। পরে ফিল্ড আম্পায়াররা জায়ান্ট স্ক্রিনে রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রিপ্লেতে ধোনির ক্যাচ বৈধ কিনা, তা দেখা হয়। কারেন এলবিডব্লিউ ছিলেন কিনা তা দেখা হয়নি । ক্ষুব্ধ সাক্ষী সিংহ ধোনি টুইট করে পরে তা ডিলিটও করে দেন।
সাক্ষীর সেই মুছে দেওয়া টুইট।
প্রসঙ্গত, পঞ্জাব বনাম দিল্লি ম্যাচেও প্রশ্ন ওঠে আম্পায়ারিং নিয়ে। আম্পায়ারের ‘ওয়ান শর্ট’-এর সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। রিপ্লেতে দেখা যায় ক্রিস জর্ডনের বাড়ানো ব্যাট ক্রিজ ছুঁয়েছিল। অর্থাৎ, রানটি ছিল বৈধ। আম্পায়ারের দৃষ্টিপথে কোনও বাধা ছিল না। তবুও ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ওই রান যোগ হলে জিতেও দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচটা জিতেও যেতে পারত পঞ্জাব। সেই কারণে দলের মালকিন প্রীতি জিন্তাও প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে টুইট করেন।
আরও পড়ুন: ভাল শুরু না হলে পালটে যেতে পারে নাইট অধিনায়ক, বলছেন গাওস্কর