রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে তিন মরসুম আইপিএলে খেলেছেন তাম্বে। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
ছয় বছর আগে আইপিএলের সবচেয়ে বেশি বয়সি ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। সে বার খেলেছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। ছয় বছর পরেও আইপিএলের নিলামে তাঁর জন্য দেখা গিয়েছে আগ্রহ। কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে বেস প্রাইস ২০ লক্ষ টাকায় নিয়েছে দলে, যা প্রবীণ তাম্বের টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারকে ফের জল-হাওয়া দিচ্ছে।
৪৮ বছর বয়স এখন তাঁর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন মাত্র দু’টি ম্যাচ। লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন মোটে ছয়টি। কিন্তু আইপিএলের আসরে যেখানে অনেক রথী-মহারথী দল পাচ্ছেন না, সেখানে তাম্বেকে ফের দেখা যাবে পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই বয়সেও!
তিন বছর রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের আইপিএলে খেলেন গুজরাত লায়ন্সের হয়ে। এ বার খেলবেন কেকেআরের হয়ে। আর প্রথমেই বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। প্রবীণ বলেছেন, “আমি কখনই বয়স মাথায় রাখি না। কেউ বয়স নিয়ে প্রশ্ন করলে আমি পাল্টা প্রশ্ন করি। নিয়মিত খেলি বলে ফিটনেস আমার কাছে কোনও ব্যাপার নয়। মাঠে একবার নামলে সব কিছু ভুলে যাই।” তিনি আরও বলেছেন, “লোকে অনেক কথাই বলে। কিন্তু আমি শুধু নিজের কাজ করে যাই। প্রচুর পরিশ্রম করি। আমাকে যে ভূমিকাই দেওয়া হোক না কেন, সেটা পালন করার চেষ্টা থাকে। তবে তা কারও কাছে কিছু প্রমাণ করার জন্য নয়। তা হলে বেশিদিন ওই ভাবে খেলতে পারতাম না। আমি এখন কেকেআরের হয়ে খেলার জন্য উন্মুখ।”
২০১৪ সালের আইপিএলে কেকেআরের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। সেই মরসুমে সবচেয়ে বেশি উইকেটও তাঁর ছিল। সেই কারণে পেয়েছিলেন পার্পল ক্যাপ। সেই হ্যাটট্রিক নিয়ে বলেছেন, “পরিষ্কার মনে রয়েছে আমদাবাদে হ্যাটট্রিকের সেই মুহূর্ত। এখন সেই কেকেআরের হয়েই খেলব ভেবে গর্বিত। ওটা ছিল ম্যাচ জেতানো বোলিং। এ বার কেকেআরের হয়েও একই রকম ম্যাচ জেতানো বোলিং করতে চাইছি।” নতুন দলে আসার ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “কেকেআর দু’বারের চ্যাম্পিয়ন। আর আমি নিয়মিত এখনও খেলে চলেছি স্থানীয় প্রতিযোগিতায়। আমার মানসিকতা হল ঠিক ২০ বছর বয়সির মতো। যাবতীয় অভিজ্ঞতা ও এনার্জি নিয়ে আমি দলের হয়ে খেলতে নামি। না খেললেও এটা আমি দলকে দিই।”
১৮ বছরের ছেলে রয়েছে তাম্বের। অন্য সময়ে মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে তিনি ক্রীড়াশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। তাঁর কথায়, “পরিবারের সাহায্য সব সময় পেয়ে এসেছি। পরিবার সব সময় অনুপ্রাণিত করে চলেছে। কেকেআর নিশ্চয়ই আমার মধ্যে কিছু দেখেছে, তাই নিয়েছে। আমি কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে কৃতজ্ঞ। ওদের কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই।”
পীযূষ চাওলার জায়গা কি নিতে পারবেন কলকাতায়? তাম্বে আত্মবিশ্বাসী, “ব্যাক-আপ বোলার হিসেবে ঠিক কাজে আসব। কলকাতার খুব বেশি স্পিনার নেই। আমি জেনে নেব ঠিক কী চাওয়া হচ্ছে আমার থেকে। পাওয়ারপ্লে নাকি মাঝের ওভার, কখন বল করানো হবে তা জানতে চাইব। সেই মতো প্রস্তুতি নেব। শেষ তিন আইপিএলে না খেললেও আমি কিন্তু ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়েই থেকেছি। তাই কোনও সমস্যা হবে না।”