নাইট অন্দরমহল

শুধু চালিয়ে খেললেই এত ধারাবাহিক হত না রাসেল

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে মূল্যবান কয়েকটা জয়ও তুলে নিতে পেরেছি আমরা এই সময়ে। তা ছাড়া আমরা অনেক জায়গাতেই মোক্ষম সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি, ভাল ক্রিকেট খেলেছি।

Advertisement

জাক কালিস

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:১৫
Share:

নজরে: আজ ইডেনে রাসেলের ব্যাটেই ভরসা নাইটদের। ফাইল চিত্র

এ বারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত আন্দ্রে রাসেলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুরন্ত ব্যাপার হল ওর ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা। এমনিতেই টানা রান করে যাওয়াটা খুব কঠিন কাজ। তাও সেটা এ রকম বিধ্বংসী মেজাজে করাটা সত্যি অনবদ্য। এটা ধরে নেওয়া খুব সহজ যে রাসেল হয়তো খুব ঝুঁকি নিয়ে এ রকম ব্যাটিং করছে। কিন্তু ও যদি শুধু চালিয়েই খেলত, তা হলে এ রকম ধারবাহিক হত না রাসেল। আসলে ও একটা পদ্ধতি মেনে ব্যাটিং করে। সঙ্গে নিজের খেলা এবং টেকনিক নিয়েও খুব ভাল জ্ঞান রয়েছে। বোলারদের খুঁজে দেখতে হবে রাসেলের বিরুদ্ধে কোথায় বল ফেলতে হবে। কারণ, যতই বিধ্বংসী দেখাক, রাসেল প্রত্যেক বলে বাউন্ডারি বা ছক্কা হাঁকাতে পারবে না।

Advertisement

সব মিলিয়ে গত দু’সপ্তাহ ঘরের মাঠের বাইরে খারাপ গেল না আমাদের। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে মূল্যবান কয়েকটা জয়ও তুলে নিতে পেরেছি আমরা এই সময়ে। তা ছাড়া আমরা অনেক জায়গাতেই মোক্ষম সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি, ভাল ক্রিকেট খেলেছি। অবশ্যই এই সব জয়ের মধ্যমণি রাস। তবে আমি এটাও জানি, এটা যে দলগত খেলা সেটা প্রথম যার মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে, সে রাসেল।

চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে আমরা নিজেদের দক্ষতার প্রতি সুবিচার করতে পারিনি। তবে এটা অনেক সময় হয়ে যায়। একটা গোটা টুর্নামেন্টে নিজেদের দক্ষতার শীর্ষে থাকাটা সহজ নয়। বিশেষ করে টানা অ্যাওয়ে ম্যাচের শেষ দিকে। হয়তো আমাদের দলের কারও কারও ঘরে ফেরার কথা মাথায় চলে আসায় মনসংযোগ নষ্ট হয়েছিল!

Advertisement

বেশ কয়েক বছর ধরেই চেন্নাই দারুণ একটা দল। সেটা ওদের দলের পরিচিত মুখগুলোর সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায়। ওদের দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়া এতটাই ভাল যে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মাথা ঠান্ডা রাখতে পারে। আসলে, সিএসকে এবং কেকেআরের মধ্যে এ দিক থেকে অনেক মিল রয়েছে। ভাল খবর হল, এ বার আমাদের ঘরের মাঠে কয়েকটা ম্যাচ খেলতে হবে আর এটা বাস্তব যে অনেক দলই বুঝতে পারে আমাদের বিরুদ্ধে ইডেনে লড়াইটা সহজ হয় না। আগেও আমি বলেছি, ইডেনে আমরা যে জনসমর্থন পাই সেটা আমাদের কাছে একটা অতিরিক্ত ফিল্ডার থাকার মতো।

দুটো ম্যাচ পরেই আমাদের সামনে কিছুদিন আবার বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে দলের ছেলেরা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে উন্মুখ হয়ে থাকবে। যদি আমরা এই সময়ে আরও দুটো জয় তুলে নিতে পারি, তা হলে প্রথম দুই স্থানে থাকার লড়াইয়ে আরও এগিয়ে যেতে পারব। আমাদের দলে কিছু চোট-আঘাতের সমস্যা রয়েছে। তবে সেগুলো গুরুতর কিছু নয়। তা ছাড়া আমাদের সাপোর্ট স্টাফ দুরন্ত। দলের প্রধান খেলোয়াড়েরা যাতে মাঠে নামতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য ওরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করবে। (গেমপ্ল্যান/ চিভাচ স্পোর্টস)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement