ফাইল চিত্র।
ইডেনে আজ সৌরভ বনাম শাহরুখ। যেখানে গ্যালারির সমর্থনেও ভাগ বসাতে পারেন সৌরভ সমর্থকেরা। কেকেআর শিবিরেও যা নিয়ে বেশ ভালই আলোচনা হয়েছে।
মেন্টর অভিষেক নায়ার যদিও মনে করেন না, ইডেনে তাঁদের সমর্থনের কোনও অভাব হবে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে নায়ার বলেন, ‘‘ইডেনের সমর্থন বরাবরই উপভোগ করেছি। এখনও পর্যন্ত ইডেনের দর্শক বেশ বিশ্বস্ত। সৌরভের প্রতি সমর্থন থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা এমন পারফর্ম করার চেষ্টা করব যাতে দর্শক অন্যদের সমর্থন করার কথাই না ভাবে।’’
কেকেআর সূত্রে খবর, ইডেনের পিচ যে পেস-নির্ভর হতে চলেছে তা আগে থেকেই শিবিরে জানা ছিল। তাই দলের মধ্যে পিচ নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ নেই। হেড কোচের নির্দেশ, পিচ যে রকমই হোক, কেকেআরকে নিজের সেরাটা দিতে হবে। এমনও মনে করা হচ্ছে যে, রাসেলের ব্যাট যদি চলতে শুরু করে তা হলে যে কোনও পিচে বিপক্ষের ত্রাস হয়ে উঠতে পারেন। রাসেল তা করেও দেখিয়েছেন। চেন্নাইয়ের ঘূর্নি পিচেও ৪৪ বলে অপরাজিত ৫০ রান করেন রাসেল। ফিরোজ শাহ কোটলার মন্থর পিচেও ২৮ বলে করেন ৬২ রান। তাই বিপক্ষ যাই হোক, নজর থাকবে রাসেলেরই উপর।
বিপক্ষ ডাগআউটে সৌরভ থাকা নিয়ে যদিও কোনও সমস্যা দেখছেন না কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। বৃহস্পতিবার অনুশীলনের আগে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে কার্তিক বলেন, ‘‘দাদা কলকাতার ছেলে। ছোটবেলা থেকে এখানেই বড় হয়েছে। যে মাঠে এতদিন খেলে এসেছে, কাল সে মাঠে দিল্লির ডাগআউটে বসতে হবে। আমার মনে এই অনুভূতির কথাটা দাদাকে জিজ্ঞাসা করাই ভাল।’’
দলের সিইও বেঙ্কি মাইসোরও সৌরভের উপস্থিতিকে সে ভাবে দেখছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘সৌরভ যা করছে তা একেবারে পেশাদারের মতো। কেকেআরের তাতে কোনও অসুবিধা নেই।’’
দিল্লি ক্যাপিটালসের উপদেষ্টা হিসেবে নতুন ইনিংস শুরু করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার যার অন্যতম পরীক্ষা ইডেনে। পুরনো দল, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে তিনি থাকবেন বিপক্ষ ডাগআউটে। কলকাতার কাছে তা চ্যালেঞ্জ হলেও দিল্লির দলটির কাছে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বৃহস্পতিবার ইডেনে নেটের পিছনে দাঁড়িয়ে উপদেষ্টার কাজ করে গেলেন সৌরভ। শুরুতেই নেটে আসেন শিখর ধওয়ন। ম্যাচের মতোই নেটেও সমান ক্ষিপ্র। অফস্টাম্পের সামান্য বাইরের বল পেলে কোনও ক্ষমা নেই। তেমনই আগ্রাসী স্পিনারদের বিরুদ্ধেও।
সৌরভ যদিও তাঁকে অফস্পিনার ও চায়নাম্যানের বিরুদ্ধে কভারের উপর দিয়ে খেলার নির্দেশ দিয়ে গেলেন। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পরে ডিপ একস্ট্রা কভার ও লং-অফের মাঝে যে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়, সেখানে বল পাঠানোর নির্দেশ দেন সৌরভ। ধওয়নের মারা বেশ কয়েকটি পাডল সুইপেরও প্রশংসা করছিলেন নেটের পিছনে দাঁড়িয়ে। বারবার বলছিলেন, এ ধরনের শট যেন বেশি করে ব্যবহার করেন ভারতীয় ওপেনার।