ভক্ত: তাঁর কাছেই হারতে হয়েছে। তাতে কী? ধোনির সই নিচ্ছেন রাজস্থান রয়্যালসের ক্রিকেটার। টুইটার
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ২৭ রানে তিন উইকেট হারানোর পরেও উদ্বেগ দেখা যায়নি চেন্নাই সুপার কিংস ড্রেসিংরুমে। কারণ, ক্রিজে ছিলেন তাদের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চিন্তামুক্ত থাকার আরও একটি কারণ রয়েছে। ম্যাচ যত এগিয়েছে, ততই সুবিধা বেড়েছে ব্যাটসম্যানদের। কারণ মাঠে শিশির পড়ায় বোলারদের বল গ্রিপ করতে অসুবিধা হচ্ছিল।
সেই পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করে ৪৬ বলে অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে ১৭৫ রানে পৌঁছে দেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। জবাবে ১৬৭ রানে আটকে যায় রাজস্থান। চেন্নাই জেতে আট রানে। দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পরে কী পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাট করছিলেন ধোনি? ম্যাচ শেষে তিনি বললেন, ‘‘একটা জুটি গড়ার প্রয়োজন ছিল। এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার পথ এটাই। জানতাম শিশির পড়ছে। ব্যাটসম্যানদের জন্য যা সুখবর। কারণ, শিশির পড়লে ব্যাট করা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।’’ আরও বলেন, ‘‘আমাদের ৯ নম্বর পর্যন্ত ব্যাটসম্যান রয়েছে। তাই শেষের দিকে যে দ্রুত রান করা সম্ভব আন্দাজ করতে পেরেছিলাম।’’
রবিবারের ম্যাচে হরভজন সিংহকে খেলাননি ধোনি। পরিবর্তে সুযোগ দিয়েছেন মিচেল স্যান্টনারকে। তার কারণ ব্যাখ্যা করে ধোনি বললেন, ‘‘বিপক্ষে বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের সংখ্যা কম ছিল। তাই স্যান্টনারকে একটি সুযোগ দিয়ে দেখলাম। অপ্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে চাই না। প্রতিযোগিতা যত এগোবে, বাকিদের কাছে ততই খেলার সুযোগ বাড়বে।’’
শিশিরভেজা এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে বিপক্ষকে ১৬৭ রানে আটকে দেওয়া খুব একটা সহজ কাজ নয়। বলের সিম (সেলাই) ভিজে গেলে বোলারদের পক্ষে তা সামলানো কঠিন। কারণ, হাত থেকে পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ধোনিও বুঝতে পারছিলেন না কাদের দিয়ে আগে বল করিয়ে নেওয়া উচিত। ধোনির কথায়, ‘‘শুরুতে পেসারদের দিয়ে বল করিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। কারণ, পরের দিকে তাহির ও স্যান্টনার দু’জনেরই ভেজা বল সামলাতে অসুবিধা হয়েছে। তাই পেসারদের দায়িত্ব নেওয়া খুব জরুরি ছিল।’’
রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানেও জানিয়েছেন, শিশিরের জন্য প্রথম ছয় ওভারের পর থেকেই সমস্যা হয়েছে তাঁর দলের বোলারদের। রাহানে বলছিলেন, ‘‘শুধু স্পিনার নয়, পেসারদের জন্যও বল গ্রিপ করা কঠিন হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সিএসকে তবুও ভাল বল করেছে। দ্রুত উইকেট তুলেছে। এই হারের দায় ব্যাটসম্যানদেরই নিতে হবে।’’
এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংসের জন্য যে সমর্থন দেখা যায়, তা ইডেনকে হার না মানাতে পারলেও বাকিদের হারিয়ে দিতে পারে। সিএসকে-র ১২ নম্বর খেলোয়াড় হিসেবে ধরা হয় চেন্নাইয়ের সমর্থকদের। ‘থালা’ (বস) ধোনি যেন চেন্নাইয়েরই ছেলে হয়ে উঠেছেন। তাই সমর্থকদের আরও এক বার ধন্যবাদ জানিয়ে গেলেন সিএসকে অধিনায়ক।
ধোনি বলেছেন, ‘‘চেন্নাইয়ের দর্শকেরা সব সময়েই আমাদের সমর্থন করে এসেছেন। ভবিষ্যতেও করবেন। ঘরের মাঠে খেলার এটাই তো সুবিধা। এটাই ক্রিকেটের মাহাত্ম্য।’’