সাদৃশ্য: সহবাগের মতোই নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বল ওড়ান পন্থ। ফাইল চিত্র
ঋষভ পন্থকে নিয়ে সর্বোচ্চ প্রশংসা এল এ বার ওয়াঘার ও পার থেকেও। ইনজ়ামাম-উল-হক বলে দিলেন, ঋষভকে দেখে মনে হয় যেন বাঁ হাতি বীরেন্দ্র সহবাগ।
‘‘অনেক দিন পরে এমন এক ক্রিকেটারকে দেখলাম, যাকে দেখে মনে হয় চাপ কোনও প্রভাবই ফেলে না। যদি দলের স্কোর ১৪৬-৬ থাকে, তখনও এমন ভাবে ছেলেটা ইনিংস শুরু করে, যা ভাবাই যায় না,’’ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পন্থকে নিয়ে বলেছেন ইনজ়ি। যোগ করেছেন, ‘‘পরিস্থিতি যাই থাকুক, পিচ যত কঠিনই হোক, ছেলেটা স্ট্রোক খেলে যায়। পেস ও স্পিনের বিরুদ্ধে একই রকম স্বচ্ছন্দ দেখায় ওকে। আমি দারুণ উপভোগ করছি ওর ব্যাটিং।’’ এর পরেই তাঁর চমকে দেওয়া উক্তি, ‘‘পন্থের খেলা দেখতে বসে মনে হয় যেন বাঁ হাতি সহবাগকে দেখছি।’’
ইনজ়ি অধিনায়ক থাকাকালীন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ সব ইনিংস খেলেছেন সহবাগ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে মুলতানে ত্রিশতরান করেছিলেন। ২০০৪-এর সিরিজে সহবাগ মুলতানে করেন ৩০৯। ইনজ়ি বলছেন, ‘‘সহবাগকেও কোনও কিছুই প্রভাবিত করতে পারত না। ও যখন ব্যাট করত, পিচ কেমন আচরণ করছে বা প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ কী রকম, সে সব কোনও তফাতই গড়তে পারত না। বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডার দাঁড় করিয়ে দিলেও সহবাগ ওর শট খেলে যেত।’’ ইমরান খান যাঁকে সচিন তেন্ডুলকরের প্রতিভার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, সেই ইনজ়ামাম বলে ফেলছেন, ‘‘সহবাগের পরে এই প্রথম কাউকে দেখলাম, যে কোনও কিছুতেই প্রভাবিত হয় না।’’
আমদাবাদে চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পন্থের সেঞ্চুরি দেখে তাঁর সহবাগের ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন ইনজ়ামাম। মুগ্ধ তিনি বলে ফেলছেন, ‘‘শুধু যে দেশের মাটিতে ভারতে ও এমন ব্যাটিং করছে, তা নয়। অস্ট্রেলিয়াতে গিয়েও করে দেখাচ্ছে। যে রকম আত্মবিশ্বাস ওর মধ্যে রয়েছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। আমি এমন ক্রিকেটার দেখিনি।’’ যোগ করছেন, ‘‘অনেক সময় পন্থ হয়তো সেঞ্চুরি পায় না ও রকম ঝোড়ো ব্যাটিং করে বলে। ভারতের আগে সচিন, দ্রাবিড়েরা ছিল। এখন আছে বিরাট, রোহিত। কিন্তু যে ভঙ্গিতে ঋষভ পন্থ ব্যাট করে, অভাবনীয়!’’