Michel Platini

প্লাতিনি নিয়ে তদন্তাদেশ

কেন ফিফার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার ২০১১ সালে উয়েফা প্রধান প্লাতিনিকে এই অর্থ দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখতেই আদালতের এই পদক্ষেপ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২০ ০২:৩৭
Share:

ফাইল চিত্র

ফিফায় দুর্নীতির অভিযোগে মিশেল প্লাতিনিকে ফের তদন্তের অধীনে আনা হল। সরকারি ভাবে সুইস আদালতে তিনি বিচারাধীন হয়ে উঠেছেন বলে নতুন করে সমস্যায় পড়তে হতে পারে তাঁকে। কিংবদন্তি ফুটবলার ২০১১-তে ফিফা থেকে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৫ কোটি টাকারও বেশি) পান। সেই অর্থ কেন তাঁকে দেওয়া হল, তা নিয়েই তদন্ত হচ্ছে।

Advertisement

সে সময়ে উয়েফার প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন প্লাতিনি। সে কারণেই এ বার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিল সুইৎজারল্যান্ডের আদালত। কেন ফিফার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার ২০১১ সালে উয়েফা প্রধান প্লাতিনিকে এই অর্থ দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখতেই আদালতের এই পদক্ষেপ।

সুইস আদালত জানিয়েছে, ফিফার এই দুর্নীতিতেই সন্দেহভাজনের তালিকায় রয়েছে প্লাতিনির নাম। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা ছাড়াও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

২০১১ সালে ফরাসি ফুটবল দলের এই প্রাক্তন অধিনায়ক ফিফায় দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করে একটি রশিদ দাখিল করেন। যে অর্থ তিনি বেতন হিসেবে চেয়েছিলেন তৎকালীন ফিফা প্রেসিডেন্ট ব্লাটারের প্রথম পর্বে (১৯৯৮-২০০২) পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করার জন্য। যে বিষয় নিয়ে কোনও চুক্তি ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই রশিদ দাখিলের পরের সপ্তাহেই প্লাতিনির এই দাবি করা অর্থ মিটিয়ে দেয় ফিফা।

এর পরেই ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সুইস আদালতে এই অভিযোগ দায়ের হয়। এর মধ্যেই প্লাতিনির বিরুদ্ধে তদন্ত ও মামলা শুরু হয়েছিল পাঁচটি বিভিন্ন আদালতে। যার মধ্যে রয়েছে ফিফার নীতি-নির্ধারক কমিটি, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত এবং ইউরোপের মানবাধিকার আদালত।

এর পরেই প্লাতিনি ও ব্লাটার নির্বাসিত হন ফিফা থেকে। তার আগে জুরিখে ফিফার সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল দু’জনকে। সেখানে তাঁরা নিজেদের দোষ অস্বীকার করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement