কাছে-দূরে: মাঠ ফাঁকা তো কী! বড়পর্দায় ডার্বিতে মজে ভক্তকুল। শুক্রবার, বাগুইআটিতে। ছবি: সুমন বল্লভ
করোনা পরিস্থিতিতে গোয়ায় দর্শকশূন্য মাঠে খেলা। কিন্তু তাতে কী! একে ডার্বি, তা-ও আবার আইএসএল-এ প্রথম বার। তাই শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়েছে ফুটবলপাগল শহর জুড়ে। ব্যতিক্রম ছিল না বিধাননগর বা রাজারহাটও। বিধাননগর, লেক টাউন, নিউ টাউন ও রাজারহাটে এ দিন একাধিক জায়গায় স্থানীয় ভাবে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে খেলা দেখার সময়ে সকলেই যাতে দূরত্ব বজায় রাখেন ও মাস্ক পরে আসেন, সে দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছিল।
এ দিন এই খেলাকে কেন্দ্র করে দু’দলের পতাকায় ঢেকে গিয়েছিল বহু এলাকা। জার্সি গায়ে বাদ্যযন্ত্র বাজাতে বাজাতে রাস্তায় বেরিয়ে সমর্থকেরা তাঁদের ক্লাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। রাজারহাটের একাধিক জায়গার পাশাপাশি লেক টাউনের একটি মাঠে বিশাল স্ক্রিন লাগিয়ে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। আয়োজকেরা জানান, এ বার দর্শকেরা মাঠে যেতে পারছেন না। দূর থেকে হলেও এক জায়গায় খেলা দেখার মাধ্যমে দুধের স্বাদ অন্তত ঘোলে মিটবে। তাই এমন আয়োজন।
পাশাপাশি, সল্টলেকের দত্তাবাদেও একটি জায়গায় বড় জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিধাননগর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর নির্মল দত্ত জানান, ফুটবল ঘিরে, বিশেষত ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান আইএসএলে অংশ নেওয়ায় সকসালের উৎহ বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতির ভেবেই দূরত্ব বজায় রেখে এবং মাস্ক পরে সেখানে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। রাখা হয়েছিল স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থাও।