ছবি: এএফপি।
বৃহস্পতিবার যে শটে লোকেশ রাহুল আউট হয়েছেন, সেই পুল মারা তিনি মোটেই থামাবেন না, জানিয়ে দিলেন স্বয়ং লোকেশ। না, এর মানে মোটেই এই নয় যে, জীবনের প্রথম চার টেস্টে দু’টো সেঞ্চুরি পেয়ে (তা-ও সব ক’টা বিদেশের মাঠে) লোকেশ রাহুলের মাথা ঘুরে গিয়েছে!
বরং ভারতীয় ক্রিকেটে কর্নাটকের নতুন রাহুলের কাছে তাঁর এ দিনের মন্তব্যের ব্যাখা রয়েছে। ‘‘পুল আমার প্রিয় শট। সে জন্য আমি এই শটটা মারা বন্ধ করতে পারব না। কিন্তু এই শট মারার ব্যাপারে ভবিষ্যতে আমি আরও নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করব। আরও ডিসিপ্লিনড্ হব। আরও ভাল ভাবে জানব যে, পুল মারার জন্য কোনটা একেবারে সঠিক লাইন আর লেংথ,’’ এ দিন পি সারায় সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ।
মিস হিটটা তাঁর একশো পেরিয়ে যাওয়ার পরে হলেও লোকেশ তাও রীতিমতো হতাশ। বললেন, ‘‘এটা একজনের কাছে খুবই হতাশার যে, সে যে শটটা খেলতে ভালবাসে সেই শটেই অনেক বার আউটও হয়!’’ তার পর একটু থেমে আরও যোগ করেন, ‘‘তবে আমার কাছে আজকের আউটটা খুব ভাল একটা শিক্ষাও। প্রথম শ্রেণির ম্যাচের তুলনায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্য গতির বোলারকে খেলি। যারা বেশি লম্বা। পিচে বলটা বেশি ঠুকে করে। সুতরাং আমাকে প্রথম শ্রেণির ম্যাচের তুলনায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শর্ট বলের সামনে আরও অনেক বেশি গোছানো থাকবে হবে ক্রিজে। আরও খাটতে হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শর্ট বলের বিরুদ্ধে পুল মারার ক্ষেত্রে।’’
সেঞ্চুরি পাওয়া নিয়ে লোকেশ বলছেন, ‘‘এই সফরে আসার আগে ইন্ডিয়া এ-র হয়ে কয়েকটা ম্যাচ খেলে এসেছিলাম। যে জন্য বলটা ভাল মারছি। গলে প্রথম টেস্টে আমার ভাল না করতে পারাটা স্রেফ দুর্ভাগ্য ছাড়া অন্য কিছু নয়। সে কারণে আমি এখানে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট করতে নেমেছিলাম একদম পরিষ্কার মানসিকতা নিয়ে। একদম পজিটিভ মনোভাব নিয়ে। এবং বড় রানও করলাম।’’ প্রথম দু’টো উইকেট তাড়াতাড়ি পড়ার সময় ক্রিজের অন্য প্রান্তে নিজের মানসিকতা প্রসঙ্গে লোকেশের জবাব, ‘‘বিরাট ওই সময় ক্রিজে নেমে প্রথমেই আমাকে বলল, যেমন পজিটিভ ব্যাট করছিস, করে যা। আমার তাতে আরও মনের জোর বেড়ে যায়, কারণ আমি ঠিক ওই রকম মাইন্ডসেটেই আজ খেলতে নেমেছিলাম। আমি খুশি যে, সেটা আমার জন্য সারাদিন কাজ দিয়েছে।’’