হারমিলন বাইনস। —ফাইল চিত্র।
প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে না পেরে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট হারমিলন বাইনস। গত এশিয়ান গেমসে ৮০০ মিটার এবং ১৫০০ মিটার দৌড়ে রুপো পেয়েছিলেন বাইনস। কিন্তু প্যারিসের যোগ্যতা অর্জন করতে না পেরে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন।
২৬ বছরের অ্যাথলিট সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘ভীষণ ভাবে চেয়েছিলাম প্যারিস অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করতে। সব রকম চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু একের পর এক চোট আমায় পিছিয়ে দিয়েছে। প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে না পেরে অবসাদে ডুবে গিয়েছিলাম। মাথা কাজ করছিল না। কিছু ভাবার মতো জায়গাতেও ছিলাম না। কখনও কখনও মনে হত অবসর নিয়েনি। এক বার আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলাম।’’
এখনও মাঠের বাইরে বাইনস। হ্যামস্ট্রিংয়ের গুরুতর চোটে ভুগছেন। ট্র্যাকে ফেরা অনেকটাই নিশ্চিত। চোট সারাতে সম্ভবত অস্ত্রোপচার করাতে হবে তাঁকে। তার পর বুঝতে পারবেন,আর দৌড়ানো সম্ভব হবে কিনা। বছরের শুরুতে তাঁকে ভুগিয়েছে গোড়ালির চোট। পাঁচ সপ্তাহ পর মাঠে ফেরেন। আবার জুন মাঠে তাঁর হ্যামস্ট্রিং ছিঁড়ে যায়।
বাইনস বলেছেন, ‘‘অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের প্রতিযোগিতাগুলোতে নামতেই পারিনি। ওই প্রতিযোগিতাগুলোয় পয়েন্ট সংগ্রহ করে প্যারিসে টিকিট নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম। তাই হ্যামস্ট্রিংয়ের হালকা চোট নিয়েই (গ্রেড ওয়ান) ব্রিটেনে একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম। তাতে চোট আরও গুরুতর (প্রায় গ্রেড থ্রি) হয়ে যায়।’’ চোট সারাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলছেন বাইনস। এশিয়ান গেমসে জোড়া পদকজয়ী বলেছেন, ‘‘আর এক বার চোটের জায়গাটা স্ক্যান করাতে হবে। তার পর অস্ত্রোপচার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। এখন আমি সাধারণ ভাবেও দৌড়তে পারছি না। অস্ত্রোপচার করালে আরও ন’মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। তার মানে দীর্ঘ সময় কোনও প্রতিযোগিতায় নামতে পারব না।’’
খেলোয়াড়জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট। বিকল্প ভাবনাও তাঁর মাথায় রয়েছে। বাইনস বলেছেন, ‘‘নতুন কিছু করার কথা ভাবছি। কারণ আমার খেলোয়াড়জীবন বেশ অনিশ্চিত। মডেলিং করতে পারি বা অন্য কিছু। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে একটা সিদ্ধান্ত হয়তো নিতেই হবে।’’
চোট সারিয়ে ট্র্যাকে ফেরার শেষ একটা চেষ্টা করতে চান বাইনস। তবে সিদ্ধান্ত নেবেন বয়স এবং আগামী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলিতে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা মাথায় রেখে।