অনশু মালিক। ছবি: এক্স (টুইটার)।
প্যারিস অলিম্পিক্সে ব্যর্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন কুস্তিগির অনশু মালিক। বেশি কষ্ট পেয়েছেন বাবাকে দেওয় কথা না রাখতে পেরে। আপাতত কয়েক দিন বিশ্রাম নিতে চান। তার পর ২০২৮ সালের অলিম্পিক্সকে লক্ষ্য করে নতুন ভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন।
স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়ে দেশে ফিরে অনশু বলেছেন, ‘‘কঠোর পরিশ্রম করলেও প্রত্যাশা মতো ফল করতে পারিনি। সকলের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এ বার পারিনি। কথা দিচ্ছি এক দিন করে দেখাবই।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘২০১২ সালে কুস্তি শুরু করেছিলাম। তখন বাবাকে কথা দিয়েছিলাম, ২০২৪ সালের অলিম্পিক্সে পদক জিতব। ১২ বছর ধরে এই একটা লক্ষ্যকে সামনে রেখে পরিশ্রম করেছি। অলিম্পিক্স শেষ। আমার এত দিনের স্বপ্নও অধরা থেকে গেল।’’ নিজের স্বপ্ন নিয়ে বলেছেন, ‘‘প্রতি দিন পরিশ্রম করেছি, ওই একটা দিনের কথা ভেবে। প্রতি রাতে একটাই স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু নিজের ভাবনার সঙ্গে কিছুই মিলল না।’’
অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি নিয়ে অনশু বলেছেন, ‘‘যাত্রা সহজ ছিল না। বহু ম্যাচ যেমন জিতেছি, তেমন হেরেওছি। বহু বার চোট পেয়েছি। অনেক সময় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি। আবার উঠে দাঁড়িয়েছি। শেষ দু’বছর খুব কঠিন কেটেছে আমার। অলিম্পিক্সে পদক জিততে পারিনি ঠিকই। তবে নিজের চেষ্টায় আমি খুশি। অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি। কঠিন হলেও জয়ের মতো পরাজয়ও মেনে নিতে হয়। এখন আর ফলাফল নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না। কুস্তিকে আমি সত্যিই ভালবাসি।’’
প্যারিস থেকে দেশে ফেরার পর পরের লক্ষ্যও ঠিক করে নিয়েছেন অনশু। দেশের অন্যতম সেরা মহিলা কুস্তিগির বলেছেন, ‘‘২০২৮ সালের অলিম্পিক্সকে সামনে রেখে নতুন করে শুরু করতে চাই। নিজেকে যোদ্ধা মনে করি। আগের থেকে অনেক শক্তিশালী হয়ে ফিরতে চাই। এখন কয়েকটা দিন বিশ্রাম নেব। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে তরতাজা হয়ে আবার কুস্তিতে ফিরব। আশা করি আগামী দিনে আমার মধ্যে সকলে অনেক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।’’
মহিলাদের ৫৭ কেজি বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন অনশু। একটি ম্যাচও জিততে পারেননি তিনি। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আমেরিকার প্রতিপক্ষের কাছে হেরে যান।