Leander Paes

আদালতে লিয়েন্ডার, প্রাক্তন স্ত্রীকে মাসে ১ লক্ষ টাকা খোরপোষের নির্দেশের বিরুদ্ধে আর্জি

এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন লিয়েন্ডার। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা করেছিলেন তাঁর প্রাক্তন সঙ্গী রিয়া পিল্লাই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ২২:২৬
Share:

লিয়েন্ডার পেজ এবং রিয়া পিল্লাই। —ফাইল চিত্র

মুম্বইয়ের দায়রা আদালতে লিয়েন্ডার পেজের আর্জি। গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় দোষী ভারতীয় টেনিস তারকা আবেদন করেছেন তাঁর শাস্তি মকুব করার জন্য। প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা করে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী রিয়া পিল্লাইকে দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত সেটাই বাতিল করার আবেদন করেছেন লিয়েন্ডার।

Advertisement

এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন লিয়েন্ডার। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা করেছিলেন তাঁর প্রাক্তন সঙ্গী রিয়া পিল্লাই। লিয়েন্ডারকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত রিয়ার সামনে দু’টি পথ রাখে। এক, লিয়েন্ডারের সঙ্গে যে বাড়িতে বাস করতেন, তা রিয়াকে ছেড়ে দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে লিয়েন্ডারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বাড়ি ভাড়া হিসেবে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা এবং বাড়ির দেখভালের খরচ হিসেবে সঙ্গে ১ লক্ষ টাকা তিনি দেবেন রিয়াকে। আর রিয়া যদি ওই বাড়ি না ছাড়েন, তা হলে তিনি এই টাকা পাবেন না।

লিয়েন্ডার এই ১ লক্ষ টাকা দিতে রাজি নন। তিনি আবেদন করে বলেন, “আমাদের সম্পর্ক সাধারণ বিয়ের মতো ছিল না। ২০০৬ সালে সন্তানের জন্ম হয়। সেই সন্তানের কথা ভেবেই আমাদের সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখা হয়েছিল।” লিয়েন্ডার জানিয়েছেন যে, তাঁর বাবা ভেস পেজ অসুস্থ ছিলেন। সেই কারণেই রায় ঘোষণার এত দিন পর আবেদন করছেন তিনি।

Advertisement

রিয়ার দাবি, ২০০৩ সাল থেকে তিনি সম্পর্কে ছিলেন লিয়েন্ডারের সঙ্গে। ২০০৫-০৬ পর্যন্ত তাঁদের সম্পর্ক ছিল। ২০০৬ সালে তাঁদের মেয়ের জন্ম হয়। ২০১৪ সালে লিয়েন্ডারের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিয়া। সাত বছরের বেশি সময় ধরে মামলা চলার পর রায় দিয়েছিল আদালত।

২০০৬ সাল থেকে বান্দ্রায় থাকতে শুরু করেন লিয়েন্ডাররা। সেখানে তাঁর বাবা ভেস পেজও থাকতেন। সেখানে থাকার সময়ই লিয়েন্ডারের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় রিয়ার। বান্দ্রায় পারিবারিক আদালতে মেয়ের হেফাজত চেয়ে মামলা করেন লিয়েন্ডার। রিয়া যে গার্হস্থ্য হিংসার কথা বলেছেন, তার মধ্যে ‘আর্থিক হিংসার’ কথাও জানানো হয়েছিল। অর্থাৎ, নিজে রোজগার করা সত্ত্বেও লিয়েন্ডার খরচের সব বোঝা রিয়ার ঘাড়ে চাপাতেন। রায় দেওয়ার সময় আদালত এই বিষয়টিও বিবেচনা করেছিল।

লিয়েন্ডারের আইনজীবীরা রিয়ার দাবি নাকচ করার চেষ্টা করেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, রিয়ার অভিযোগের আইনী ভিত্তি নেই, কারণ তিনি যখন লিয়েন্ডারের সঙ্গে সহবাস শুরু করেছিলেন, তখন বিবাহিত ছিলেন। ২০০৮ সালে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় রিয়ার। লিয়েন্ডারের দাবি, রিয়া যে বিবাহিত ছিলেন তা তিনি তখন জানতেন না।

রিয়ার পাল্টা যুক্তি ছিল, সঞ্জয়ের সঙ্গে যে তিনি থাকেন না, তা লিয়েন্ডার তখনই জানতেন। সঞ্জয়ের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ মামলা তখন চলছিল। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অন্য মামলা চলায় এবং সঞ্জয়ের বাবার মৃত্যুর জন্য বিবাহ বিচ্ছেদের রায় বেরতে দেরি হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, তাদের পক্ষে এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয় যে লিয়েন্ডার জানতেন না রিয়ার বিবাহবিচ্ছেদ মামলা চলছে। ফলে, রিয়া এবং লিয়েন্ডারের বিবাহ না হলেও তাঁদের সম্পর্ককে বিবাহ হিসাবেই দেখেছে আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement