কার্লোস আলকারাজ় (বাঁ দিকে) এবং সুমিত নাগাল। — ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে উঠে গেলেন কার্লোস আলকারাজ়। বৃহস্পতিবার রড লেভার এরিনায় তিনি হারালেন ইটালির লোরেঞ্জো সোনেগোকে। আলকারাজ় জিতেছেন ৬-৪, ৬-৭, ৬-৩, ৭-৬ গেমে। একটি সেট খুইয়েই জিততে হয়েছে বিশ্বের ২ নম্বর খেলোয়াড়কে। ট্যুর পর্যায়ে এই নিয়ে ২০০তম ম্যাচ খেললেন আলকারাজ়। তৃতীয় রাউন্ডে ভারতীয় খেলোয়াড় সুমিত নাগালের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না। দ্বিতীয় রাউন্ডে চিনের শাং জুনচেংয়ের কাছে হেরে গেলেন নাগাল। প্রথম সেট ৬-২ জিতলেও পরের তিনটি সেট হারলেন ৩-৬, ৫-৭, ৪-৬ গেমে।
২০ বছরের আলকারাজ় বাকি তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামে অন্তত সেমিফাইনালে উঠেছেন। এই নিয়ে তৃতীয় বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নেমেছেন। শুরু থেকে ম্যাচের দাপট ছিল স্প্যানিশ খেলোয়াড়ের হাতেই। প্রথম দু’টি সেটে কোনও ব্রেক পয়েন্ট পাননি। তা সত্ত্বেও অসাধারণ খেলে সোনেগো দ্বিতীয় সেট ছিনিয়ে নেন। নিজের সেরা টেনিস বার করে এনে দ্বিতীয় সেটে টাইব্রেকারে জেতেন। নেটের সামনে অসাধারণ খেলছিলেন সোনেগো।
ঠিক যে কাজ তাঁর পূর্বসূরি নোভাক জোকোভিচ বা রাফায়েল নাদালরা করতেন, সেই একই ভাবে সমস্যায় পড়ে নিজের আসল রূপ বার করে আনেন আলকারাজ়। তবে সোনেগো লড়াই ছাড়েননি। আলকারাজ় যা-ই শট মারুন, সেটাই ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন তিনি। তবু ৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিটের লড়াইয়ে হার মানতে হল সোনেগোকে।
মেয়েদের বিভাগে, শীর্ষ বাছাই ইগা শিয়নটেক উঠে গেলেন তৃতীয় রাউন্ডে। ২০২২ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন রানার-আপ ড্যানিয়েল কলিন্সের বিরুদ্ধে প্রথম সেট জেতার পর দ্বিতীয় সেটে হেরে গিয়েছিলেন। তৃতীয় সেটে পিছিয়ে ছিলেন ১-৪ গেমে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতলেন তিনি। ৬-৪, ৩-৬, ৬-৪ গেমে জিতলেন শিয়নটেক।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ ছিল শিয়নটেকের। দাপট দেখিয়েই প্রথম সেটে জিতে নেন তিনি। দ্বিতীয় সেটেও শুরুতেই ব্রেক করেছিলেন। সেখান থেকে কলিন্স তো সেট জিতে নেনই, তৃতীয় সেটেও এগিয়ে যান ৪-১ সেটে। অঘটন থেকে বাঁচতে নিজের সেরা টেনিস বার করে আনতে হয় শিয়নটেককে। কলিন্সের শক্তিশালী গ্রাউন্ডস্ট্রোকের মোকাবিলা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন পোলিশ খেলোয়াড়।
কী ভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে শিয়নটেকের ব্যাখ্যা, “সত্যিই জানি না। ভেবেছিলাম বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানো খুবই দরকার ছিল। নিজেকে নিয়ে গর্বিত। কারণ আজকের ম্যাচটা মোটেও সহজ ছিল না।”
ছেলেদের বিভাগে অঘটন বাঁচালেন আলেকজান্ডার জেরেভও। দু’সেট খুইয়েও তিনি স্লোভাকিয়ার কোয়ালিফায়ার লুকাস ক্লেনকে হারালেন ৭-৫, ৩-৬, ৪-৬, ৭-৬, ৭-৬ গেমে। তৃতীয় রাউন্ডে উঠলেন জেরেভ। বৃষ্টির কারণে স্টেডিয়ামের ছাদ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যেই জার্মান জেরেভ বেজায় সমস্যায় পড়েছিলেন বিশ্বের ১৬৩ নম্বর খেলোয়াড় ক্লেনকে সামলাতে।
ম্যাচের পর জেরেভ বলেন, “হয়তো দেড় ঘণ্টাতেই ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল আমার। কী আর করব। অসাধারণ টেনিস খেলেছে ক্লেন। দুটো দিক থেকে প্রত্যেকটা বলই অসম্ভব জোরে মেরেছে। অনেক সময় রিটার্ন করার মতো শক্তিই পাচ্ছিলাম না।”
পাঁচ সেটে জিততে হয়েছে একাদশ বাছাই ক্যাসপার রুডকেও। ম্যাক্স পার্সেলকে তিনি হারিয়েছেন ৬-৩, ৬-৭, ৬-৩, ৩-৬, ৭-৬ গেমে। ১৯তম বাছাই ক্যামেরন নরিও পাঁচ সেটে হারিয়েছেন জিউলিয়ো জিপ্পেরিকে।