আনন্দের হাতে মশাল তুলে দিচ্ছেন মোদী। ছবি: পিটিআই
দাবা অলিম্পিয়াডের মশাল জ্বলল নয়াদিল্লিতে। ভারতে প্রথম বার অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা। ২৮ জুলাই থেকে শুরু হবে এ বারের দাবা অলিম্পিয়াড। তার আগে ভারতের ৭৫টি শহরে ঘুরবে দাবা অলিম্পিয়াডের মশাল। আগামী ৪০ দিন কলকাতা-সহ বিভিন্ন শহরের গ্র্যান্ডমাস্টাররা সেই মশাল নিয়ে ঘুরবেন।
রবিবার নয়াদিল্লিতে আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থা ‘ফিডে’-র প্রধান আরকাডি ভরকভিচ মশাল তুলে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে। তিনি সেটা তুলে দেন বিশ্বনাথন আনন্দের হাতে। লেহ, শ্রীনগর, জয়পুর, সুরাট, মুম্বই, ভোপাল, পটনা, কলকাতা, গ্যাংটক, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, থ্রিশুর, পোর্ট ব্লেয়ার, কন্যাকুমারীর মতো নানা শহরে পৌঁছে যাবে এই মশাল। শতবর্ষের মুখে দাবা অলিম্পিয়াড। বাকি আর দু’বছর। তার আগে প্রথম বার ভারতে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা।
এ বারের প্রতিযোগিতায় ১৮৮টি দেশ অংশ নিয়েছে। তামিলনাড়ুর মহাবালিপুরমে হবে এই প্রতিযোগিতা। চলবে ২৮ জুলাই থেকে ১০ অগস্ট পর্যন্ত। মশাল জ্বালার অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, “ভারতে কুস্তি, কবাডি খেলা হয় শরীর সুস্থ রাখার জন্য। আর আমাদের পূর্বপুরুষরা বিশ্লেষণের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আবিষ্কার করেছিলেন দাবা। সারা বিশ্বে সেই খেলা ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে শিক্ষার একটি অস্ত্র দাবা। দাবাড়ুরা হয়ে উঠছেন যে কোনও সমস্যার সমাধানকারী।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, “ভারতের কাছে দারুণ মুহূর্ত। যে দেশে দাবার জন্ম সেখানেই হবে অলিম্পিয়াড। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য। যখনই মশাল যাত্রা হবে সেটা ভারত থেকেই শুরু হবে। ১৯৫৬ সালে ভারত প্রথম বার দাবা অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়। অনেক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল পদক জেতার জন্য। এক বার জেতার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে ভারতে খেলা নিয়ে প্রচুর আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এর জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি নিজে ক্রীড়াপ্রেমী এবং আমাদের দেশের ক্রীড়াবিদদের খেয়াল রাখেন।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।