রঙিন: গোলাপি আলোয় এ ভাবেই সেজে উঠেছে ইডেন। নিজস্ব চিত্র
ইডেনে ঐতিহাসিক দিনরাতের টেস্ট ম্যাচ নিয়ে জোরালো চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতীয় দলের অন্দরমহলে। প্রথমেই শিশিরের রহস্য সমাধানের চেষ্টায় নেমেছে দল।
বিরাট কোহালিরা কলকাতায় এসে পৌঁছবেন আজ, মঙ্গলবার। তার আগে ইনদওরে প্রথম টেস্ট জিতে কোহালি, রোহিত শর্মারা দু’দিনের ছুটিতে গিয়েছিলেন বাড়িতে। চেতেশ্বর পুজারারা ইনদওরে থেকে গোলাপি বলে অনুশীলন করেছেন।
ইডেনে দিনরাতের টেস্টে শিশিরের প্রভাব নিয়ে চর্চা চলছে। ইনদওরে বসেই ভারতীয় দলের মস্তিষ্করা ভাবতে শুরু করেছেন, কী ভাবে শিশিরের মোকাবিলার জন্য তৈরি হওয়া যায়। ইডেনে মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, আর অশ্বিনদের ভেজা গোলাপি বলে অনুশীলন করতে দেখা গেলে অবাক হওয়ার নেই। শীত আসার ঠিক আগে এই সময়টায় ইডেনে ভালই শিশির থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারও কারও মতে, বল এতটাই ভিজে যেতে পারে যে, সন্ধের পরে বোলারদের পক্ষে বল ধরাই কঠিন হয়ে যেতে পারে। সে কথা ভেবেই শামি, অশ্বিনদের ভিজে গোলাপি বলে বোলিং করিয়ে তৈরি করা হতে পারে।
এমনিতে শিশিরের প্রভাবে বেশি অসুবিধা হয় স্পিনারদের। তাঁদের পক্ষে বল ভাল করে ধরাটাই কঠিন হয়ে যায়। অশ্বিনের মতো আঙুলের প্রভাবে বল করা স্পিনারের আরওই সমস্যা হতে পারে কারণ শিশিরে ভেজা বল পিছলে যাওয়ার খুব সম্ভাবনা থাকে। এই প্রতিকূলতার মোকাবিলা করার জন্যই ভারতীয় দলের প্র্যাক্টিসে ভিজে বলের ব্যবহার দেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘাস চাই, বেশি রোলার নয়, মন্ত্র দুবাই পিচ কারিগরের
ভারতের এই বর্তমান দলে ছ-সাত জন এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলে খেলেছেন। চেতেশ্বর পুজারা, মহম্মদ শামি, ঋদ্ধিমান সাহারা সেই তালিকায় রয়েছেন। কিন্তু খুব স্পষ্ট ধারণা কারও নেই। ইনদওরে টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন দু’এক বার গোলাপি বলে অনুশীলন করেছেন কোহালিরা। রবিবার পুজারা, অশ্বিনরা মহড়ায় নেমেছিলেন। কিন্তু খুব তীব্রতা ছিল না সেই অনুশীলনে। ভারতীয় দলের অন্দরমহলে ইডেনের দিনরাতের টেস্ট নিয়ে এখন প্রধান ধাঁধা দু’টি। এক) শিশিরের প্রভাব কতটা থাকবে? এবং দুই) গোধূলি লগ্নে বল কেমন ব্যবহার করবে?
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত সুইং এবং বাউন্স নিয়ে ভয় মেহদিদের
গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা কারও কারও মতে, গোধূলি লগ্নে বলটা দেখতে অসুবিধা হয়। ব্যাটসম্যানদের তো বটেই, এমনকি ফিল্ডাররাও অনেক সময় অসুবিধায় পড়েন। এর সঙ্গে যোগ করতে হবে ইডেনের বিশালতা এবং টিকিট নিয়ে যা উত্তুঙ্গ আগ্রহ, তাতে মাঠ সম্পূর্ণ ভর্তি থাকবে। পুরো ভর্তি ইডেনে ঠিক সন্ধে হওয়ার সময় গোলাপি বল ঠিক মতো দেখাটা আরও কঠিন হতে পারে বলে কারও কারও মত। সেই কারণে ভারতীয় দল ইডেন টেস্টের আগের দু’দিন যে প্র্যাক্টিস করবে, তাতে একটি পর্ব অন্তত নৈশালোকে করার ভাবনা রয়েছে। যাতে গোধূলি লগ্নের পরীক্ষাটাও সেরে নেওয়া যায়।