ছবি: পিটিআই।
এশিয়ান গেমসে আরও এক বার সোনা জিতলেন নীরজ চোপড়া। ভারতকে সোনা এনে দিলেও খুশি হতে পারছেন না তিনি। সোনা জয়ের পর নীরজ সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বলেন যে, তাঁর সঙ্গে রেফারিদের ঝগড়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে জানান কিশোর জেনা রুপো জেতায় তিনি খুশি।
এশিয়ান গেমসে নীরজকে টক্কর দেওয়ার মতো কেউ আছেন কি না সেটা নিয়েই সন্দেহ ছিল। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী যে এখানেও সেরা হবেন তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। কিন্তু নীরজের প্রথম থ্রোটি বাতিল করে দেওয়া হয়। সোনা জয়ের পর নীরজ বলেন, “আমি ভেবেছিলাম এখানে ৯০ মিটার ছুড়ব। কিন্তু আমার প্রথম থ্রোটি বাতিল করে দেওয়া হয়। সেটা নিয়ে রেফারিদের সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়।” প্রযুক্তিগত কারণে নীরজের প্রথম থ্রো বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাতে নীরজের সোনা জয় আটকায়নি। তিনি ৮৮.৮৮ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়ে সোনা জিতে নেন।
নীরজ সাধারণত তাঁর প্রথম থ্রোয়েই সেরাটা ছোড়েন। বুধবার তাঁর বাতিল হয়ে যাওয়া প্রথম থ্রোটি ৮৫ মিটারের বেশি ছিল। প্রায় ৯০ মিটারের কাছাকাছি ছিল থ্রোটি। সেটাই বাতিল হয়ে যায়। সেই কারণে বেশ বিরক্ত হন নীরজ। চিনের উদ্যোক্তাদের উপর বিরক্ত দেখায় নীরজকে। তিনি বার বার গিয়ে কথা বলতে থাকেন তাঁদের সঙ্গে। একের পর এক জ্যাকেট পরতে থাকেন নীরজ। শরীর যাতে ঠান্ডা না হয়ে যায় সেই দিকে নজর রাখছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথম থ্রো বাতিল হয়ে যাওয়ার হতাশা তাঁর মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। নীরজ প্রথম দিকের থ্রো-তেই সব থেকে দূরে ছোড়েন। কিন্তু সেটা বাতিল হয়ে যাওয়ায় রেগেই যান তিনি।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নীরজকে এশিয়ান গেমসে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন ভারতের কিশোর জেনা। তিনি এক সময় নীরজের থেকে বেশি দূরে জ্যাভলিন ছুড়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন। পরে নীরজ তাঁকে টপকে যান। নীরজ বলেন, “আমরা একে অপরকে আরও ভাল ছোড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করছিলাম। কিশোর যখন আমার থেকে এগিয়ে ছিল, তখন আলাদা করে কিছু ভাবিনি। এ রকম হয়েই থাকে। অনেক সময় প্রতিপক্ষ এগিয়ে যায়। নিজের বিশ্বাস রাখতে হয় এই সময়। অভিজ্ঞতা আমাকে এগিয়ে দিল। পারব মনোভাবটা খুব প্রয়োজন। তবে কিশোর আমাকে বড় প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দিয়েছিল।”
ইভেন্ট চলার সময়ও কিশোরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন নীরজ। কিশোর জ্যাভলিন থ্রো করার পর সেটা বাতিল করে দেন রেফারি। কিন্তু নীরজ সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি করেন। তিনি দৌড়ে যান কিশোরের পাশে। তাঁকে রিভিউ করতে বলেন। তাতে দেখা যায় থ্রোটি ন্যায্য ছিল।