ভারতীয় দলের ভারসাম্যের প্রশংসা করেছেন ইয়ান চ্যাপেল। ফাইল ছবি।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেস্ট সিরিজে ভারতের হোয়াইটওয়াশ করানোর মধ্যে পেসারদের অবদান দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল। তাঁর মতে, ভারতীয় পেসাররা বিশ্বের যে কোনও জায়গায় দাপট দেখানোর ক্ষমতা রাখেন।
সম্প্রতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেস্ট সিরিজে ৩-০ হারিয়েছে বিরাট কোহালির দল। যার ফলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এক নম্বর জায়গা আরও মজবুত হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। এই সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজাও সাফল্য পেয়েছেন। তবে মহম্মদ শামি ও উমেশ যাদব, দুই ভারতীয় পেসার নজর কেড়েছেন ক্রিকেটমহলের।
ইএসপিএনক্রিকইনফো ওয়েবসাইটে নিজের কলামে ইয়ান চ্যাপেল লিখেছেন, ‘এক নতুন আঙ্গিক যোগ করেছে ভারত। জশপ্রীত বুমরার অনুপস্থিতিতেও ভারতের পেসাররা বড় অবদান রেখেছে সিরিজ জয়ে। অনেক বছরের পরিকল্পনা আর অজস্র অ্যাকাডেমির ফলে ভারতে এখন অনেক পেসার উঠে এসেছে যাঁরা ক্রিকেটবিশ্বের সর্বত্র নিজেদের মেলে ধরার ক্ষমতা ধরে।’
আরও পড়ুন: টেস্টে কিপিং ছাড়ছেন, ভারত সিরিজ থেকে মুশফিকুর শুধুই ব্যাটসম্যান
আরও পড়ুন: ৫৬ বলে ১০০! জন্মদিনে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি ওয়ার্নারের
গ্রেগ চ্যাপেলের দাদার মতে, ‘ফিট অবস্থায় বুমরা, অক্লান্ত মহম্মদ শামি, অনেক উন্নত হয়ে ওঠা ইশান্ত শর্মা ও দ্রুতগতির উমেশ যাদব মিলে ভারতের এখন এমন চারজন জোরে বোলার রয়েছে, যাঁরা সমস্ত কন্ডিশনেই সমীহ দাবি করে। এর সঙ্গে ভারতের রয়েছে দক্ষ স্পিনাররা। ভারতের মতো এত তীক্ষ্ণ বোলিং আক্রমণ কিন্তু খুব কম দেশেরই রয়েছে।’ এর সঙ্গে হার্দিক পাণ্ড্যর মতো সিম-বোলিং অলরাউন্ডার থাকার কথাও বলেছেন ইয়ান। তাঁর যুক্তি, ‘পেসারদের গ্রুপে হার্দিককে যোগ করলে ভারতের যা বোলিং দাঁড়াচ্ছে, তা যে কোনও কন্ডিশনের মোকাবিলায় সক্ষম। এর ফলে ভারতের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা কোনও দল নিতে গেলে দু’বার ভাববে।’
রোহিত শর্মাকে দিয়ে টেস্টে ওপেন করানোও প্রশংসা কেড়েছে তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়কের কথায়, ‘ভারতে প্রতিভার অভাব নেই। আইপিএলে তরুণ ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক তারকাদের সঙ্গে মিশতে পারে। অনির্দিষ্টকাল ধরে ভারত তাই শক্তিশালী দল হয়ে থাকবে।’ অধিনায়ক বিরাট কোহালি প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের উত্থানের আর একটা কারণ হল অধিনায়কের তৈরি করা উদাহরণ। সব কন্ডিশনে পারফর্ম করতে চায় কোহালি। ওর এই তাগিদ সংক্রমিত হয়েছে সতীর্থদের মধ্যেও। পুরো দলই এখন বিশ্বের সেরা হতে চাইছে।’