ভারতীয় পেসারদের শাসন দেখে অভিভূত চ্যাপেলও

এই দলটির সঙ্গেই হার্দিক পাণ্ড্যকে দেখতে চান চ্যাপেল। তাঁর কথায়, ‘‘এই বোলিং আক্রমণের সঙ্গেই হার্দিকের মতো একজন পেসার-অলরাউন্ডার থাকলে দল আরও পোক্ত হয়ে উঠবে।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:১২
Share:

জোড়া-ফলা: বিশ্বক্রিকেটে চমক দিয়েছেন শামি, বুমরারা। ফাইল চিত্র

ভারতীয় পেসারদের দাপটে মুগ্ধ প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল। তিনি মনে করেন, যে কোনও পরিস্থিতিতেই এই পেস ব্যাটারির সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কঠিন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে আর অশ্বিন সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হলেও মহম্মদ শামি ও উমেশ যাদবের দাপটে বিপক্ষ ওপেনারেরা কখনও একশো রানের জুটি গড়তে পারেননি।

Advertisement

ভারতের স্পিন সহায়ক পিচে বুমরাকে ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নামিয়ে দিয়েছেন শামি, উমেশরা। যা দেখে চ্যাপেল লিখেছেন, ‘‘পেসারদের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট অন্য মাত্রায় চলে গিয়েছে। যশপ্রীত বুমরাকে ছাড়াই ঘরের মাঠে সিরিজ জিতেছে পেসারদের দাপটে। অনেক বছরের পরিকল্পনা এবং একাধিক শিবির গঠন করার ফলই পাচ্ছে ভারত। ক্রিকেট বিশ্বের যে কোনও জায়গায় সফল হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই পেস ব্যাটারির।’’

চ্যাপেল আরও বলছিলেন, ‘‘অক্লান্ত মহম্মদ শামি, উন্নত ইশান্ত শর্মা, গতিময় উমেশ যাদব ও সুস্থ যশপ্রীত বুমরা ভারতের কাছে এক অমূল্য সম্পদ। যে কোনও পরিবেশে ওদের সম্মান করতেই হবে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘তারকা স্পিনারদের সঙ্গে এই চারজন পেসার দলকে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে যে, বাকি দলগুলো মিলিয়ে উঠতে পারছে না।’’

Advertisement

এই দলটির সঙ্গেই হার্দিক পাণ্ড্যকে দেখতে চান চ্যাপেল। তাঁর কথায়, ‘‘এই বোলিং আক্রমণের সঙ্গেই হার্দিকের মতো একজন পেসার-অলরাউন্ডার থাকলে দল আরও পোক্ত হয়ে উঠবে। কোনও দল নিজের সুবিধা অনুযায়ী পিচ তৈরি করলেও এই বোলিং আক্রমণকে সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।’’

ভারতীয় ক্রিকেটের সার্বিক উন্নতির কারণ হিসেবে চ্যাপেল তুলে ধরেছেন আইপিএল-কে। সেই সঙ্গেই সঠিক ক্রিকেটার নির্বাচনকেও দায়ী করেছেন তিনি। ‘‘বিশ্ব ক্রিকেটে শাসন করার জন্য সঠিক ক্রিকেটার নির্বাচনের প্রয়োজন। ভারত সেটা খুব ভাল ভাবেই করেছে। তরুণ ক্রিকেটারেরা আইপিএল-এর মতো মঞ্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছে। এই পদক্ষেপই বিশ্বক্রিকেটে ভারতের দাপট দীর্ঘদিন বজায় রাখবে।’’

ভারতের উন্নতির পিছনে বিরাট কোহালিরও অবদান অনস্বীকার্য। চ্যাপেল জানিয়েছেন, অধিনায়কই যখন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, তখন সতীর্থরা উদ্বুদ্ধ হবেনই। চ্যাপেলের কথায়, ‘‘কোহালির মতো অধিনায়ক দলে থাকলে ক্রিকেটারেরা এমনিতেই ভাল করার জন্য মুখিয়ে থাকবে। ও নিজেই যে কোনও পরিস্থিতিতে পারফর্ম করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। বাকিদের কাছে কোহালিই উদাহরণ।’’

টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও নিজের কলামে লিখেছেন চ্যাপেল। দক্ষিণ আফ্রিকার পারফরম্যান্স তাঁর উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। লিখেছেন, ‘‘টেস্ট ক্রিকেট বাঁচিয়ে রাখতে হলে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রয়োজন। দু’টি ভাল দলের দ্বৈরথ দেখার জন্য মাঠ ভরবে না, তা হতে পারে না।’’

চ্যাপেল আরও বলছিলেন, ‘‘এক তরফা টেস্ট দেখতে এই মাঠে কেউ আসবে না। প্রত্যেকটি দলকেই ক্রিকেটের মান উন্নত করে তুলতে হবে। বর্তমানে টেস্ট দুনিয়ায় ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সব চেয়ে শক্তিশালী। তার পরেই নিউজ়িল্যান্ড। কিন্তু বাকিরা মানের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে। এই তফাতটা যত দ্রুত কমিয়ে ফেলা যায়, ততই টেস্টের জন্য ভাল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement