লড়াকু: বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠার পরীক্ষা প্রজ্ঞার। ছবি: টুইটার।
দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাগনাস কার্লসেন বনাম আর প্রজ্ঞানন্দের লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখলেন ভারতীয় দাবাড়ু। শনিবার বাকুতে চলা প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালের প্রথম গেমে শুরুর দিকে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে তাঁর চেয়ে এগিয়ে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকার ফাবিয়ানো কারুয়ানার বিরুদ্ধে চাপে ছিলেন প্রজ্ঞা। শেষ পর্যন্ত চাপ কাটিয়ে ৭৮ চালের পরে ড্র হয়ে যায় গেম। অপর সেমিফাইনালে প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কার্লসেন প্রথম গেমে হারান আজ়ারবাইজানের নিজাত আবাসভকে। এ দিন কালো ঘুঁটি নিয়ে ড্র করায় রবিবার সাদা ঘুঁটিতে খেলার সুবিধে পাবেন প্রজ্ঞা।
বিশ্বকাপের প্রতিটি রাউন্ড তিন দিন ধরে চলে। দুটি ক্ল্যাসিকাল টাইম কন্ট্রোল গেম এবং প্রয়োজন পড়লে তৃতীয় টাইব্রেক গেমের মাধ্যমে পরবর্তী রাউন্ডের বিজয়ী নির্ধারিত হন। এ বারের বিশ্বকাপের শেষ দুটি রাউন্ড চলবে ১৯-২৪ অগস্ট।
পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দের পরে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ফিডে বিশ্ব কাপের শেষ চারে পৌঁছন প্রজ্ঞানন্দ। ১৮ বছর বয়সি প্রজ্ঞা কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে হারান সতীর্থ অর্জুন এরেগাইসিকে। এই প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে চার জন ভারতীয় পৌঁছেছিলেন। যার মধ্যে সেমিফাইনাল পর্যায়ে শুধু টিকে থাকেন প্রজ্ঞাই।
তাঁর যে কৃতিত্বের পরে প্রজ্ঞার মা নাগলক্ষ্মী আবেগরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। অর্জুনকে হারানোর পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে যখন প্রজ্ঞা কথা বলছেন, পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর মা। আনন্দাশ্রু ধরে রাখতে পারেননি তিনি সেই মুহূর্তে। যে ছবি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে। প্রজ্ঞা ম্যাচের সময় তাঁর মায়ের উপস্থিতি নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘মা সব সময়ই আমার পাশে রয়েছে। যখন কোনও ম্যাচ হেরে যাই, মা আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। আমার কাছে তাই মার সমর্থনটা খুব বড় ব্যাপার। শুধু আমারই নয়, আমার দিদির জন্যও।’’
১২ বছর ১০ মাসে দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম হিসেবে গ্র্যান্ডমাস্টার হন প্রজ্ঞা। এর পরে দ্রুতই তিনি উঠে আসেন বিশ্বমঞ্চে। ২০২২ সালে কার্লসেনকে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করেন তিনি। এর তিন মাসের মধ্যে আবার কার্লসেনকে হারান। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে ২০২৪ ক্যান্ডিডেটস প্রতিযোগিতার জন্যও যোগ্যতা অর্জন করেছেন প্রজ্ঞা। যে প্রতিযোগিতায় ঠিক হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন চিনের ডিং লিরেনের চ্যালেঞ্জার কে হবেন।