বিক্ষোভরত কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়ালেন সুনীল ছেত্রী। ছবি: পিটিআই এবং ফাইল চিত্র।
দেশের রাজধানী দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভরত কুস্তিগিরদের আটক করার ঘটনায় তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। কুস্তিগিরদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার নিন্দা করলেন সুনীল। দেশের যে কোনও খেলার প্রথম অধিনায়ক হিসাবে কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।
টুইটারে সুনীল লিখেছেন, “কেন আমাদের কুস্তিগিরদের এই ভাবে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? কারও সঙ্গে এই রকম ব্যবহার করা কাম্য নয়। আমি আশা করি পুরো বিষয়টির সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা হবে।” রবিবার সকালে কুস্তিগিরদের আটকের ঘটনার নিন্দা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘‘দিল্লি পুলিশ যে ভাবে সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগত এবং অন্য কুস্তিগিরদের টানাহেঁচড়া করল, তাকে ধিক্কার জানাই। আমাদের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে এই ব্যবহার লজ্জাজনক। গণতন্ত্রের ভিত্তি সহিষ্ণুতা। স্বৈরাচার অসহিষ্ণুতার জন্ম দেয়। আমি আটকদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। কুস্তিগিরদের পাশে রয়েছি।’’
ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহকে গ্রেফতারের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে ধর্না দিচ্ছেন কুস্তিগিরেরা। রবিবার নতুন সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা। তার আগে যন্তর মন্তরে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের। তার জেরে আটক হন বিনেশ, সাক্ষী, বজরং-সহ কয়েক জন কুস্তিগির। এ দিন রাতের দিকে আটক কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বড়খাম্বা থানায়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ছ’টি ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হয়েছে। বিনেশ ফোগট, সাক্ষী মালিক এবং বজরং পুনিয়াদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৯, ১৮৬, ১৮৮, ৩৩২, ৩৫৩ ধারায় এফআইআর রুজু করা হয়েছে।
শোনা গিয়েছে, কুস্তিগিরদের আর প্রতিবাদ করতে ওই জায়গায় ফিরতে দেওয়া হবে না। দিল্লি পুলিশের আইনশৃঙ্খলা বিভাগের স্পেশ্যাল কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক জানিয়েছেন, পুলিশের তরফে বার বার অনুরোধ করা হলেও কুস্তিগিরেরা সরেননি। যে পুলিশরা তাঁদের আটকাতে গিয়েছিলেন তাঁদের ধাক্কা দেন। তিনিই জানিয়েছেন, প্রতিবাদীদের আর যন্তর মন্তরের সামনে ফিরতে দেওয়া হবে না।